খাবার বুঝে না খেলেই গুরুপাক। গ্যাস, অম্বল, বদহজমের সমস্যা। তার পর সেই জের সামলাতে সামলাতে প্রাণই জেরবার। এই খাবার খাওয়ার কায়দা নিয়েই কিছু নির্দেশ রয়েছে ভারতের প্রাচীন শাস্ত্র আয়ুর্বেদে। কোন খাবার খাওয়ার পর কোনটা খেতে নেই। কোনটা খাওয়ার পর কোনটা না খেলেই নয়। এমন নানা ধরনের নির্দেশ রয়েছে আয়ুর্বেদে।
যেমন ধরা যাক, দুধ নিয়েই রয়েছে বেশ কয়েকটি নির্দেশ। ভারতীয়দের খাবারে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার অন্যতম প্রধান খাবার। নিদেনপক্ষে চা খেতে হলেও অনেকেই দুধ চা-ই পছন্দ করেন। এছাড়াও বাঙালির প্রিয় মিষ্টি তো আছেই!
আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, দুধ খাওয়ার পর কিছু খাবার না খাওয়াই ভালো। অথবা দুধ দিয়ে কয়েকটা পদ রান্না এড়িয়ে চলা ভালো। তাতে আয়ুর্বেদ মতে ‘বিরুদ্ধ আহার’ হয়। এতে হজমের গোলযোগ থেকে নানা সমস্যা দেখা দিতে থাকে।
মিল্ক ফিশ কারি: দুধ দিয়ে রাঁধা এই পদটি অনেক খাদ্যরসিকের কাছেই জনপ্রিয়। তবে আয়ুর্বেদ মতে, এই দুই খাবার একসঙ্গে না খাওয়াই ভালো। এতে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেটের সমস্যাও হতে পারে।
টক ফলের স্মুদি: টক জাতীয় ফলের স্মুদি খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। প্রিয় পানীয়ের তালিকায় এটি অনেকেই রাখেন। কিন্তু স্মুদির অন্যতম উপাদান হল দুধ। তাই দুধের সঙ্গে টকজাতীয় ফল খেতে নিষেধ করছে আয়ুর্বেদ। এতে বদহজম হতে পারে।
ঈস্ট ব্রেড: দুধের সঙ্গে ঈস্ট ব্রেড খেতেও বারণ করছে আয়ুর্বেদ। অনেকেই এটি খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এতে পিত্ত ও বাত দশায় সমস্যা হতে পারে।
কলা ও দুধ: দুধকলা আমাদের অন্যতম পরিচিত খাবারগুলির মধ্যে একটি। বহুদিন ধরেই দুধের সঙ্গে কলা খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু আয়ুর্বেদ মতে, এই খাবার বুকে কফ জমার জন্য দায়ী। একইসঙ্গে সর্দিও বসে যেতে পারে বুকে।
তরমুজ: দুধের সঙ্গে তরমুজ নৈব নৈব চ। এমনটাই বলছে আয়ুর্বেদ। এতে হজমের সমস্যার পাশাপাশি প্রচণ্ড গ্যাস হয়। খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও চলে যায়।