হার্ট থেকে হাড়ের স্বাস্থ্য, কিম্বা চুল থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে আখরোটের জুড়ি মেলা ভার। তবে মুঠোভর্তি আখরোট নয়, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ উপায়ে নির্দিষ্ট কয়েকটি আখরোট খেলেই রোগ জ্বালা থেকে দূরে থাকার হদিশ পেয়ে যাবেন!
1/7 শীতকাল মানেই শুকনো ফলের সাম্রাজ্যের দিন! ঠান্ডার দিনে রোদ পোহাতে পোহাতে হাতে কয়েকটা আখরোট নিয়ে বসে, তা ছাড়িয়ে খেতে অনেকেই সুখ-বোধ করেন! এই আখরোটের গুণাগুণ নতুন কিছু নয়। তবে জানেন কি কোন সঠিক পদ্ধতিতে আখরোট খেলে তার গুণাগুণ গায়ে লাগতে বাধ্য? জেনে নিন কিছু উপকারি উপায়।
2/7 আখরোটের উপকারিতা- আখরোট দিনে কতগুলি খাচ্ছেন, আর কীভাবে খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে এর উপকারি দিনগুলি। প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক আখরোট খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়। ছবি : আনস্প্ল্যাশ
3/7 ত্বক ও চুল ভালো রাখতে- ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ই সমৃদ্ধ আখরোট মূলত সুপারফুড। আখরোটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিব ই থাকায় নরম তুলতুলে, উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া হয় সহজ। এছাড়াও চুলকে পাতলা হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে আখরোট।
4/7 মস্তিষ্ক ও হার্ট ভালো রাখে- এমন কিছু পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ আখরোট, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে ভালো রাখে। মানসিক চাপ বোধ করাকে কমায়। এছাড়াও মস্তিষ্কের আকারের আখরোট স্মৃতিশক্তি প্রখর করতেও খুবই কার্যকরি। বাড়িয়ে তোলে একাগ্রতা। আখরোটে থাকা আলফা লিনোলিন অ্যাসিড ধমনীতে চর্বি জমা থেকে দেয় মুক্তি। ফলে হার্ট ভালো থাকে। (ফাইল ছবি)
5/7 হজম ও হাড় মজবুত করতে- আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এটি শরীরের হাড় মজবুত করতে খুবই উপকারি। ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা না থাকলে ৩০ এর ওপরের মহিলাদের জন্য এটি উপকারি হাড়ের দিক থেকে। এছাড়াও পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, আয়রনে ঠাসা আখরোট হজনশক্তিকে বাড়িয়ে দিতে সুবিধা করে দেয়।
6/7 আখরোট দিনে কতগুলি খাবেন- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ টি আখরোট খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সমস্যা কমে যায়। এছাড়াও নারায়ণা হৃদয়ালয়ের চিকিৎসক শ্রুতি ভরদ্বাজ বলছেন, দিনে ২ থেকে ৪ টি আখরোট খাওয়াই যথেষ্ট (তবে শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে)।
7/7 ভোজানো আখরোট উপকারি- বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোজ সকালে ভিজিয়ে খান আখরোট। খাওয়ার আগে অন্তত ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন আখরোট। বিশেষজ্ঞের মতে, জলে ভেজানো আখরোট হজম শক্তি বাড়ায়, ওজন কমায়, ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও আখরোট ভেজা জলে থাকে বহু ভিটামিন ও খণিজ। ফলে সেই জলও চুমুক দিয়ে পান করা জরুরি। (এই প্রতিবেদন প্রচলিত তথ্যধর্মী। বিশদ ও বিশেষভাবে বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জরুরি।)