খিদে পেলেই শুধু একটা ক্লিকের অপেক্ষা। ২০ মিনিটেই পৌঁছে যাচ্ছে খাবার। রমজান মাসেও তাই হয়েছে। যে বাড়িতে হাঁড়ি চড়েনি, সে বাড়িতে অনলাইন খাবার এসেছে। বেশিরভাগ পরিবার অবশ্য বিরিয়ানিই অর্ডার করেছে, সেই সংখ্যা প্রায় ৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ৬০ লক্ষ। বর্তমানে, দেশে অনলাইনে খাবার অর্ডার করার প্রবণতা বাড়ছে। অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম সুইগি জানিয়েছে, রমজান মাসে রেকর্ড ৬০ লক্ষ বিরিয়ানি বিক্রি করেছে কোম্পানি। দাবি করা হয়েছে যে সুইগি সাধারণ দিনের তুলনায় রমজানে বিরিয়ানির জন্য ১৫ শতাংশ বেশি অর্ডার পেয়েছে।
অনলাইন বিরিয়ানির অর্ডারের ক্ষেত্রে এখন হায়দরাবাদ এখন শীর্ষে। এই শহরে রমজান মাসে ১০ লক্ষ প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হয়েছে। এবং ৫.৩ লক্ষ প্লেট হালিমের অর্ডার পাওয়া গিয়েছে। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে এও বলেছে যে রমজান মাসে ইফতার টেবিলে হালিম এবং সিঙাড়ার মতো ঐতিহ্যগত খাবারে রমরমা বেশি ছিল। সুইগি আরও জানিয়েছে যে, সাধারণ দিনের তুলনায় রমজানে সারা দেশে জনপ্রিয় খাবারের অর্ডার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। রমজান মাসে বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ইফতারের অর্ডার ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
- রমজানে অনলাইনে কোন কোন খাবার বেশি অর্ডার করা হয়েছে
রমজান মাসে, হালিমের অর্ডার ১৪৫৪.৮৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিরনি অর্ডার ৮০.৯৭ শতাংশের রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। মালপোয়া অর্ডারগুলি ৭৯.০৯ শতাংশ এবং ফালুদা এবং অন্যান্য অর্ডারগুলি যথাক্রমে ৫৭.৯৩ শতাংশ এবং ৪৮.৪০ শতাংশ রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, রমজানের 'মিষ্টি স্পট' ছিল মুম্বাই, হায়দরাবাদ, কলকাতা, লক্ষ্ণৌ, ভোপাল এবং মিরাটে। এই শহরগুলোতে মালপোয়া, খেজুর এবং ফিরনি সহ ইফতারের মিষ্টি খাবারের অর্ডার ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
- আজকাল মানুষ বেশিই বিরিয়ানি খাচ্ছে
এছাড়াও সুইগি যখন সুইগি বছরের শেষ দিনে অর্ডার তালিকা ভাগ করেছিল, সেই অনুসারে ব্যবহারকারীরা ২০২৩ সালে সর্বাধিক সংখ্যক বিরিয়ানির অর্ডার করেছিলেন। ২০২৩ সালে টানা অষ্টম বছরে সুইগিতে সর্বাধিক অর্ডার করা খাবার ছিল বিরিয়ানি। ২০২০ সালে, সুইগিতে প্রতি মিনিটে ৯০ টি বিরিয়ানি অর্ডার করা হয়েছিল, যেখানে ২০২১ সালে এই সংখ্যাটি প্রতি মিনিটে ১১৫ বিরিয়ানি অবধি বেড়ে গিয়েছিল। ২০২২ সালে সেই রেকর্ড ভেঙে দাঁড়িয়েছিল প্রতি মিনিটে ১৩৭ টি বিরিয়ানিতে এবং ২০২৩ সালে প্রতি মিনিটে ১৫০ টিরও বেশি বিরিয়ানি অর্ডার করা হয়েছিল।