মুম্বইতে কোভিডের নয়া স্ট্রেইন এক্সইর সন্ধানের খবর ছড়ালেও তা পরে ভুয়ো বলে দাবি করে প্। ফলে ওমিক্রনের পর নতুন করে এই সাব ভ্যারিয়েন্টের হাত ধরে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে আতঙ্ক। প্রশ্ন উঠছে কতটা ভয়াবহ এই স্ট্রেইন , তা নিয়ে। এদিকে, ইতিমধ্যেই জানুয়ারি মাসে এই স্ট্রেইনের সন্ধান মেলে ইউকেতে। এরপর থেকে গোটা বিশ্বে ৬০০ জনের দেহে ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে কয়েকদিন আগেই এই ভাইরাস নিয়ে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থা হু।
সবচেয়ে বেশি সংক্রামক!
এযাবৎকালে কোভিডের যে সমস্ত ভ্যারিয়েন্ট এসেছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রামক ক্ষমতা রয়েছে এক্সই সাব ভ্যারিয়েন্টের। বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর আগে ওমিক্রনের বিএ. ২-এর সবচেয়ে বেশি সংক্রামক ক্ষমতা ছিল। এই নয়া ভ্যারিয়েন্ট তার থেকেও ১০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।
কী বলছে টাটা ইনস্টিটিউট ফর জেনেটিক্স অ্যান্ড সোসাইটি?
টাটা ইনস্টিটিউট ফর জেনেটিক্স অ্যান্ড সোসাইটি-র ডিরেক্টর বলছেন, 'প্রথমবার জানুয়ারির মাঝামাঝি এই ভ্যারিয়েন্ট দেখা দেয়। তবে আমার মনে হয়, এটা নিয়ে প্যানিক বাটন পুশ করার কিছু নেই। বিশ্বের মধ্যে ৬০০ টি এই কেস দেখা গিয়েছে। তবে আমাদের প্রয়োজন এটির ওপর নজর রাখার।'
এক্স ই ভ্যারিয়েন্ট কী?
উল্লেখ্য, এক্সই ভ্যারিয়েন্টটি হল ওমিক্রনের বিএ.২ ও বিএ ১ এর সম্মিলিত রূপ। অন্যদিকে এক্স এফ ও এক্স ডি হল ডেল্টা ও ওমিক্রনের সংঘবদ্ধ রূপ। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সমস্ত রকমের ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে এক্সই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রাখে। ইতিমধ্যেই ইউরোপ জুড়ে ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে। সতর্ক হয়ে ব্রিটেন হেল্থ সার্ভিস নতুন করে করোনার উরসর্গের তালিকা বাড়িয়েছে। সেখানে কাশি, সর্দি, স্বাদ, গন্ধের ক্ষেত্রে অনুভূতির পরিবর্তন, অল্পেই ক্লান্ত হওয়া, কাঁপুনি দিয়ে জ্বরের মতো উপসর্গকেও তালিকাভূক্ত করেছে। তবে এক্সই ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনের স্টেটাস বড় ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে উপসর্গের ক্ষেত্রে।