তুষার চিতাবাঘের প্রজনন। আর তাতে সবার সেরা দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিকাল পার্ক। World Association of Zoos and Aquariums নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের সোস্য়াল মিডিয়ার পেজে এই দার্জিলিংয়ে চিড়িয়াখানা ও তুষার চিতাবাঘের কথা উল্লেখ করেছে।
অনেকের কাছে দ্য ঘোষ্ট অফ মাউন্টেন বলেও পরিচিত। সেই তুষার চিতাবাঘ।
তাদের পক্ষ থেকে লেখা হয়েছে, এই চিড়িয়াখানা গত ৩০ বছর ধরে তুষার চিতাবাঘের সফল প্রজনন ঘটাচ্ছে।
এই তুষার চিতাকে বিপন্ন প্রাণী বলে উল্লেখ করা হয়। দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ায় একমাত্র এখানেই এই ব্রিডিং প্রোগ্রাম চলে। এখানেই বর্তমানে সবথেকে বেশি ক্য়াপটিভ পপুলেশন রয়েছে এই স্নো লেপার্ডের।
১৯৮৩ সালে প্রথম এই Captive Breeding শুরু হয়েছিল। এরপর ২০০৭ সালে এই চিড়িয়াখানাকে স্নো লেপার্ডের অন্যতম প্রজননক্ষেত্র বলে উল্লেখ করা হয়।
সব মিলিয়ে এই চিড়িয়াখানায় ৭৭টি তুষার চিতাবাঘের জন্ম হয়েছে। এই বছরই ৬টি বাচ্চা হয়েছে। এটা হল এই কর্মসূচির সবথেকে বড় সাফল্য।
কার্যত দার্জিলিং চিড়িয়াখানার এই সাফল্যকে তুলে ধরেছে WAZA নামে ওই সংস্থা। এটা নিঃসন্দেহে একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
প্রায় ৬৭ একর জায়গায় গড়ে উঠেছে এই চিড়িয়াখানা। ১৯৫৮ সালে এটা তৈরি হয়েছিল। ৭০০০ ফুট উচ্চতায় এটা রয়েছে। এখানে ক্যাপটিভ ব্রিডিং হয় তুষার চিতার, হিমালয়ের নেকড়ের ও রেড পান্ডার। প্রতি বছর প্রায় ৩০০,০০০ দর্শক এখানে আসেন। জুরিখ, আমেরিকা, লেহ লাদাখ থেকে এখানে এই তুষার চিতাবাঘের নিয়ে আসা হয়েছিল। বিদেশ থেকেও এখানে নিয়ে আসা হয়েছে রেড পান্ডার দলকে। নানা ধরনের হিমালয়ের প্রাণীরা রয়েছে এখানে। পাহাড়ে থাকতে অভ্য়স্ত প্রাণীদের এখানে রাখা রয়েছে।
দার্জিলিং বেড়াতে গেলে অনেকেই একবার চিড়িয়াখানায় ঘুরে আসেন। বাচ্চাদের কাছেও অত্যন্ত আকর্ষণীয় এই চিড়়িয়াখানা। হিমালয়ের কোলে ঘুরে বেড়ায় এমন নানা জীবজন্তু রাখা আছে এই চিড়়িয়াখানায়। রেড পান্ডা আর তুষার চিতার প্রতি আলাদা আকর্ষণ থাকে অনেকেরই। তবে এবার আন্তর্জাতিক সংস্থা দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় তুষার চিতাবাঘের প্রজনন নিয়ে উচ্ছসিত। দীর্ঘদিন ধরেই এই কাজ করে আসছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানা। একেবারে খোলা জঙ্গলে না হলেও চিড়িয়াখানার মধ্য়ে তুষার চিতাদের বাচ্চা প্রসবের ঘটনা যথেষ্ট প্রশংসার দাবি রাখে। কারণ এই তুষার চিতাবাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য় এর সংখ্যা বৃদ্ধি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।