পৃথিবী গভীরে লুকিয়ে আছে, এমন এক আদিম জগত, যার কথা এখনও বিজ্ঞান জানতে পারেনি। তা নিয়ে সারাক্ষণই মাথা খাটাতে থাকেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু সব সময় তার তল পাওয়া যায় না। হালে বিজ্ঞানীদের হাতে এসেছে একটি ভিডিয়ো ফুটেজ। অস্ট্রেলিয়ার এক দল বিজ্ঞানী দূর থেকে পরিচালনা করা যায়, এমন ক্যামেরা নামিয়েছিলেন সমুদ্রের গভীরে। এতটাই গভীরে, যেখানে আগে কখনও পৌঁছোয়নি ক্যামেরা। কেমন দৃশ্য ধরা পড়ল সেখানে? দেখে হতবাক বিজ্ঞানীরা।
হালে জাপানের পার্শ্ববর্তী সমুদ্র এলাকার জীবজগৎ নিয়ে কাজ করছিলেন অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী। তাঁরা শেষ পর্যন্ত সমুদ্রতল থেকে ৮ কিলোমিটারের গভীরে ক্যামেরা নামাতে সফল হন। এর আগে কখনও সমুদ্রের এত নীচে পর্যন্ত ক্যামেরা নামেনি।
(আরও পড়ুন: ঘণ্টায় ২০ লাখ মাইল বেগে ছুটে আসছে সৌর ঝড়, বড় বিপদের আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের)
এই বৈজ্ঞানিক অভিযান সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিজ্ঞানী অ্যালান জেমিসন বলেন, ‘সমুদ্রের এত নীচে এর আগে ক্যামেরা নামেনি। আমরা সব সময়েই বলি, গভীর সমুদ্র মোটেই খুব নিরাপদ জায়গা নয়। সেখানকার প্রাণীজগত সম্পর্কে ভালো করে ধারণাও এখনও নেই। তাই এই অভিযানটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
(আরও পড়ুন: ছাপবেন আর খাবেন! নয়া কেক ছাপার যন্ত্রই খাবারের ‘ভবিষ্যত’, বলছেন বিজ্ঞানীরা)
জাপানের পার্শ্ববর্তী এই এলাকার সমুদ্র বিভিন্ন প্রাণীতে ভরপুর। তাই এটি জীববিজ্ঞানীদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেমিসন জানিয়েছেন, ক্যামেরায় ধরা পড়েছে দু’টি একই প্রজাতির মাছ। সেগুলি স্নেলফিশ গোত্রের। এই জাতীয় মাছ মোটেই খুব একটা দেখা যায় না। আর তারই ভিডিয়ো বিজ্ঞানীদের দলটি তুলে দিয়েছে সংবাদমাধ্যমের হাতে। দেখে নিন, সেই ভিডিয়োটি।
সমুদ্রের এত গভীরে যে প্রাণীজগত রয়েছে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত ধারণা পরিষ্কার নয় জীববিজ্ঞানীদের মধ্যেও। জলের তলায় ক্যামেরা পৌঁছোনো মোটেই সহজ কাজ নয়। কারণ বাড়তে থাকে জলের চাপ। আর তাই বিজ্ঞানীরা চাইলেও সেখানে ক্যামেরা পাঠাতে পারেন না। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানীরা এমন ক্যামেরা বানাতে পেরেছেন যা এই পরিমাণ চাপ সহ্য করতে পারে। আর তাই এত গভীরে গিয়ে ছবি তোলা সম্ভব হয়েছে।
আগামী দিনে সমুদ্রের আরও গভীরে ক্যামেরা পাঠানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। তাতে জীবজগতের আরও রহস্য উন্মোচিত হবে বলেও তাঁদের আশা।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)