আপনার দাঁতের স্বাস্থ্য বহুলাংশেই আপনার খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভর করে। চিনিযুক্ত খাবার দাঁতে বহুক্ষণ লেগে থাকে। ফলে এই জাতীয় খাবার দাঁতের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। অন্যদিকে ফল, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার এবং শাকসবজি দাঁত পরিষ্কার করতে এবং দাঁতের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
সুতরাং, আপনার যদি মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, কিন্তু দাঁতের সমস্যা এড়াতে চান, সেক্ষেত্রে একটাই উপায়। মিষ্টি খাবার খাওয়ার পরেই দাঁত ভাল করে ব্রাশ করে নিন। এরপর মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ কুলকুচি করে নিন।
অন্যদিকে আপেল বা কমলালেবুর মতো ফল খেলে তার ফাইবারের মাধ্যমে দাঁত পরিষ্কার হয়। ফলে দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে। তবে একইভাবে, এই ফাইবার যাতে দাঁতের ফাঁকে দীর্ঘক্ষণ আটকে না থাকে, সেদিকে নজর দেবেন।
দিনে ২-৩ বার অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করবেন। অন্তত দিনে একবার দাঁত ফ্লস করার চেষ্টা করবেন।
ক্যাপচার লাইফ ডেন্টাল কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ডাঃ নম্রতা রুপানি দাঁতের জন্য সেরা এবং সবচেয়ে খারাপ খাবারের তালিকা শেয়ার করলেন:
দাঁতের জন্য সেরা খাবার
ফাইবার সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি: ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি দাঁত ও মাড়ি পরিষ্কার করে। তাছাড়া এর খাদ্যগুণের কথা বলাই বাহুল্য।
দুগ্ধজাত খাবার: ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার আপনার দাঁতের এনামেলের জন্য ভালো। এনামেল হল দাঁতের বাইরের শক্ত ও সাদা আবরণ।
গ্রিণ টি: এই চায়ে রয়েছে পলিফেনল, যা প্লাক ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে বা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি অ্যাসিড তৈরিতে বাধা দেয়।
দাঁতের জন্য সবচেয়ে খারাপ খাবার
মিষ্টি এবং ক্যান্ডি: এক কথায়, খাবার দাঁতে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকলে তা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।
স্টার্চি এবং আঠালো খাবার: স্টার্চি খাবার দাঁতে জমা হতে পারে। এর উদাহরণ হল পাঁউরুটি বা আলুর চিপসের নরম টুকরো। এই আঠালো খাবারগুলি ছোট ছোট কণায় ভেঙে যায়। ফলে কুলকুচি বা ব্রাশ করে দাঁত সাফ করাও কঠিন হয়ে যায়।
ঠান্ডা পানীয় এবং কার্বনেটেড পানীয়: কোল্ড ড্রিংক্সে চিনির পরিমাণ অকল্পনীয়ভাবে বেশি। এছাড়াও, বেশিরভাগ সফট ড্রিংকের মধ্যে ফসফরিক এবং সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। এটি দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে এবং দাঁতের ক্ষতি করে। এর বদলে ডাবের জল, ফলের রস বা লেবুর জল পান করার অভ্যাস করুন।