পুজো আর তাতে নারকেল লাগবে না? এটা হতেই পারে না। দুর্গাপুজো হোক বা কালীপুজো কিংবা লক্ষ্মী বা সরস্বতী পুজো, অথবা অন্য কিছু, সবেতেই নারকেল লাগে। শুধুই যে পুজোর উপাচারে নারকেল লাগে এমনটা নয়, যাঁরা পুজোর সময় উপোস করেন তাঁদের জন্যও নারকেল লাগে। বিভিন্ন ধরনের মাখা খাওয়ার জন্য নারকেল ভীষণই ভালো। এটা আলাদা মাত্রা যোগ করে। সে আপনি কোনও পুজোর উপোস ভাঙার পর সাবু মাখা খান কিংবা চিঁড়ে মাখা তাতে সামান্য নারকেল যোগ করে দিলেই তার স্বাদ অতুলনীয় হয়ে যায়।
এছাড়া নারকেল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী, এতে আছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ইত্যাদি। এই বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি থাকার কারণে এই ফলের পুষ্টিগুণ ভীষণ বেশি যা আমাদের শরীর ভালো রাখে। অন্যদিকে উপোস করলে প্রথমত কিছু খাওয়া যায় না, আর উপোস ভাঙার পরও মন চায় সেট খাওয়া সম্ভব হয় না। কারণ তাহলেই পেটের সমস্যা দেখা দেবে। তাই তখন নারকেল খেলে শরীর ভালো থাকে। এনার্জি জোগায় ক্লান্ত শরীরে।
কিন্তু এই যে, পুজোর এত জরুরি একটা উপকরণ সেটা ভাঙা কিন্তু মোটেই মুখের কথা নয়। নারকেল ভাঙা ভীষণই কঠিন। সবার আগে তো এটার ছোবড়া ছাড়াতে হয়। ছোবড়া ছাড়ানোর পর দেখা মেলে আসল ফল, থুড়ি নারকেলের। কিন্তু দেখা পেলেই তো হল না! তার থেকে শাঁসও তো বের করতে হবে। সেটা আরেক ঝক্কির কাজ। ফলে নারকেল কাটা বেশ কষ্টসাধ্য বিষয় একটা।
কিন্তু আপনি জানেন কি সাঁড়াশি, কাটারি, প্রভৃতি সংরঞ্জাম ছাড়াও নারকেল কাটা যায় খুব সহজেই! কীভাবে? দেখে নিন।
বাজার থেকে তাজা নারকেল কিনুন। এরপর বাড়ি এনে নারকেলটাকে গরম জলে চুবিয়ে রাখুন মিনিট পাঁচেক। তারপর জল থেকে তুলে নারকেলের গা পরিষ্কার করে নিন। তারপর নারকেল শুকোতে দিন। নারকেল যখন পুরো শুকিয়ে যাবে তখন মাইক্রোওভেন প্রিহিটকরে নিন ৪০ ডিগ্রিতে। তারপর তার মধ্যে নারকেল ঢুকিয়ে দিন। এক মিনিট পর বের করে খালি হাতেই ছোবড়া ছাড়িয়ে নিন।
তারপর একটা গোটা রাত নারকেলটা ফ্রিজে রেখে দিন। অন্তত ১২ ঘণ্টা রাখবেন। তারপর বের করে হাতুড়ির এক ঘা দিলেই আপনার কাজ হাসিল। তারপর ছুরি দিয়ে কেটে শাঁস বের করে নিন।
আর যদি বাড়িতে মাইক্রোওভেন না থাকে তাহলে গ্যাসেও করতে পারেন। সেক্ষেত্রে গ্যাসে মিনিট দুয়েক নারকেলটাকে পুড়িয়ে নিতে হবে। তারপর ছুরি দিয়ে সহজেই ছোবড়া ছাড়ানো যাবে।