Foods To Reduce Hemorrhoids or Piles Problems: অর্শের সমস্যা ঘরে ঘরে। কিন্তু এই সমস্যার কিছুটা সমাধান আছে ঘরেই।
1/10 আমাদের দেশের বহু মানুষই অর্শের সমস্যায় ভোগেন। খাদ্যাভ্যাসের সমস্যা থেকে জল কম খাওয়া বা জীবনযাপনের কিছু বৈশিষ্ট্য এই সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। এই সমস্যা বাড়াবাড়ির জায়গা পৌঁছোলে, তা অন্য নানা বিপদও ডেকে আনতে পারে। অর্শ বা পাইলসে আক্রান্ত মানুষের প্রতিদিন যাতে পেট পরিষ্কার থাকে সেদিকে নজর রাখা উচিত। পেট পরিষ্কার থাকলে পাইলসের সমস্যা কমতে পারে।
2/10 এই রোগে আক্রান্ত অনেকের ক্ষেত্রে আরও একটি সমস্যা দেখা দেয়, সেটি হল রক্তক্ষরণ। এই রোগ বাড়াবাড়ি জায়গায় গেলে মলদ্বারের ভিতরে কিছু রক্তনালী ফুলে যায়। আর এই ফুলে যাওয়া রক্তনালী ফেটে রক্ত বার হতে থাকে। এটি দেখাটা মানসিক ভাবেও অনেককে খুব চাপে ফেলে দেয়।
3/10 অর্শকে তিনটি মাত্রায় বা গ্রেডে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে প্রথম মাত্রার পাইলসের ক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসে বদল আনলে অনেক সময় সমস্যার সমাধান ঘটে। সেক্ষেত্রে আর অস্ত্রোপচারের দরকার হয় না।
4/10 তাই যাঁরা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা তাঁদের খাদ্যাভ্যাস বা ডায়েট এর দিকে একটু সতর্ক হলেই কিছু ক্ষেত্রে এই রোগের থেকে উপশম পেতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন খাবার এই সমস্যা কিছুটা কমাতে পারে।
5/10 বেশি করে জল খাওয়া: পাইলসে থাকলে জল পান করতে হবে প্রচুর পরিমাণে। জল কম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেবে, আর এর থেকেই অর্শের সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। তাই যাঁদের পাইলসে আছে, তাদের দিনে কমপক্ষে ৩ লিটার জলপান করতেই হবে।
6/10 ভুসি জাতীয় খাবার: ফাইবারে খুব ভালো পেট পরিষ্কার করে। আর ভুসির মধ্যে আছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার। তাই যাঁদের অর্শের সমস্যা আছে, তাঁদের এই জাতীয় খাবার খাওয়াটা খুব জরুরি। অল্প হলেও ভুসি খেতেই হবে আর তবেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
7/10 রুটি: অনেকেই রাতে ভাত খান। কিন্তু জানেন কি, এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। পাইলসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রাত্রে রুটি খাওয়াটাই ভালো। কারণ রুটিতে আছে অনেক ফাইবার, যা সকালে পেট সাফ করতে সাহায্য করে। তাই রাত্রে রুটি খেতে হবে।
8/10 ওটস: ওজন কমাতে ওটস সাহায্য করে। তেমনি ডায়াবিটিস রোগীদের জন্যও খুব উপকারী এই ওটস। ওটসেও থাকে প্রচুর পরিমানে ফাইবার। এটি অর্শের রোগীদের জন্যেও বিশেষ উপকারী। তাই ওটস খেলে পাইলসের সমস্যা কমে।
10/10 তবে মনে রাখবেন, নিজে নিজে ডাক্তারি করাটা কোনও কাজের কথা নয়। এই ধরনের ঘরোয়া খাবার দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে কিছুটা উপকার পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু কোন খাবার আপনার খাওয়া উচিত, আর কোনটা খাওয়া উচিত নয়— সেটি বলতে পারবেন চিকিৎসকই। পাইলসের চিকিৎসার জন্যও এমন কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াটাও দরকারি।