অফিস পাড়ার নন্দিনী দিদির আর নতুন করে পরিচয়ের কোনও প্রয়োজন আছে কি? মনে হয় না। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তিনি এখন বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া দিদি নম্বর ১ -এ এসেও তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা পান। সেখানে এসে জানান তাঁর জীবনের লড়াইয়ের গল্প। এই সুন্দরী যুবতী কী করে একা হাতে অমন ব্যস্ত জায়গায় নিজের হোটেল চালান সেটা ভেবেই অবাক হয়ে যান সকলে। কেউ কেউ আবার তাঁকে নিয়ে ট্রোল করেন। রাস্তার পাশের দোকান চালায় যে তাঁর এত সাজ কিসের, এই বক্তব্য তাঁদের। কিন্তু তাতে থোড়াই কেয়ার করেন নন্দিনী। রমরমিয়ে এখন তাঁর ব্যবসা চলছে শহরের এই ব্যস্ততম প্রান্তে। কিন্তু এ হেন ব্যক্তির নেপথ্যে থাকা মানুষটিকে চেনেন?
কথায় বলে একজন সফল পুরুষের পিছনে একজন মহিলা থাকে। কিন্তু একজন সফল মেয়ের পিছনে নির্দ্বিধায় তাঁর বাবাই থাকে। ঠিক তেমন ভাবেই নন্দিনীর লড়াইয়ে তাঁর পিছনে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তবে বাবা।
সম্প্রতি জনপ্রিয় ফুড ব্লগার ফুডজপা নন্দিনীর বাবার সঙ্গে সবার আলাপ করিয়ে দিলেন। এদিন এই ফুড ব্লগার নন্দিনীর হোটেলে খেতে যান। সেখানে গিয়ে তিনি নন্দিনীর বাবার সঙ্গে ছবি তোলেন খাবার থালা হাতে।
এদিন ফুডজপা লেখেন, 'এটা সাধারণত বলা হয় একজন সফল পুরুষের পিছনে একজন মহিলা থাকেন। আসুন এবার আলাপ করুন মিস্টার গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। ইনিই কলকাতার নন্দিনীদির বাবা। তাঁর হোটেলের নেপথ্যে থাকা ব্যক্তি। আজ এখানে গিয়ে ওঁদের ইলিশ থালি ট্রাই করলাম। দাম মাত্র ৩০০ টাকা। এই থালিতে বিভিন্ন ধরনের ভাজা, সবজি, ডাল এবং মাঝারি সাইজের একটি ইলিশ মাছ দেওয়া হয়েছিল। যদিও ঝোলটা একটু পাতলা হয়েছিল তবুও মাছটা এত ফ্রেশ আর সুস্বাদু ছিল যে কী বলব। মন ভরে গেল।'
আরও পড়ুন: অফিসপাড়ার ‘স্মার্ট দিদি’ নন্দিনী দিদি নম্বর ১-এ! ‘এটাই বাকি ছিল’, হল খুব ট্রোল
তিনি তাঁর পোস্টে আরও লেখেন, 'আমি এই বাবা মেয়ের জুটিকে অনেক শুভ কামনা জানাই। আশা করব তাঁরা যেন সমস্ত বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে পারেন এবং এভাবেই এগিয়ে চলেন।'
এই বিষয়ে বলে রাখা ভালো আজকাল অনেকেই অফিস পাড়ায় যান কেবল নন্দিনীদির হোটেলে খেতে বা তাঁর ভিডিয়ো করতে।