ইতিহাসে প্রথমবার মানবদেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল শুয়োরের হৃদযন্ত্র। বিশ্বজুড়ে অঙ্গদানের ক্ষেত্রে যে সমস্যার মুখে পড়তে হয়, তা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে, এমনই আশাই ২ মাস আগে করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু আশা সফল হল না। বড়সড় ধাক্কা খেল চিকিৎসাবিজ্ঞান। হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের দু’মাসের মধ্যেই মৃত্যু হল সেই রোগীর।
গত জানুয়ারি মাসে বাল্টিমোরের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল স্কুলের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, ৫৭ বছরের এক ব্যক্তির দেহে শুয়োরের হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এই প্রতিস্থাপনের আগে শুয়োরটির জিনগত পরিবর্তন করা হয়েছিল।
প্রতিস্থাপনের পরে ওই রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন এবং তাঁর অঙ্গ ঠিকঠাকভাবে কাজ করছে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল স্কুলের তরফে জানানো হয়েছিল, ডেভিড বেনেট নামে ওই ব্যক্তি কয়েক মাস ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁর হৃদপিণ্ড সচল রাখা হয়। তাঁর শরীরের যা অবস্থা ছিল, তাতে মানুষের হৃদপিণ্ড দিয়ে প্রতিস্থাপনের ধকল তিনি সইতে পারতেন না। তাই চিকিৎসকরা শুয়োরের হৃদযন্ত্র দিয়ে কাজটি করেন।
কিন্তু সব কিছু নিয়মমাফিক চলে না। বুধবার সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। ফলে অন্য প্রাণীর অঙ্গ মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে গবেষণার কাজ আবার এক ধাপ পিছিয়ে গেল।