শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাব দেখা দিলে নানা রোগ ভোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। একজন মহিলার শরীরে ১২ গ্রাম/ডেসিলিটার হিমোগ্লোবিন থাকা জরুরি। শরীরে আয়রনের অভাব হলে হিমোগ্লোবিনের স্তর কমতে থাকে। শরীরে এর অভাবে মাথা ঘোরা, মুখে ঘা হওয়া, দুর্বলতা অনুভব করা, ক্লান্তি অ্যানিমিয়া, হাত ও পা ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, ত্বকের রঙ পরিবর্তন হওয়া, পিরিয়ডসে অধিক ব্লিডিং হওয়া, হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। প্রাকৃতিক উপায় ও খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ানো যায়। কীভাবে, জেনে নিন—
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান- আয়রনের অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যায়। তাই এ সময় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। মুরগির লিভার, ডিম, আপেল, বেদানা, ডালিম, তরমুজ, কুমড়োর বীজ, খেজুর, জলপাই, কিশমিশ খেলে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ানো যায়।
ভিটামিন সি- এই ভিটামিনের অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। আবার ভিটামিন সি ছাড়া আয়রনের শোষণ সম্ভব হয় না। পেঁপে, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, সবুজ ফুলকপি, আঙুর, টমেটো, টক ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে।
ফলিক অ্যাসিড- এটি এক ধরনের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। লাল রক্তকণিকা তৈরিতে এই ফলিক অ্যাসিড সাহায্য করে। সবুজ শাকসবজি, লিভার, ভাত, শিমের বীজ, বাদাম, কলা, ব্রকোলি ফলিক অ্যাসিডের উল্লেখযোগ্য উৎস।
বিট- হিমোগ্লোবিনের স্তর বৃদ্ধির জন্য বিটের রস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন অনেক চিকিৎসক। আয়রন, ফলিক অ্যাসিড ফাইবার ও পটাশিয়ামের সমৃদ্ধ উৎস বিট। এটি লাল রক্ত কণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আপেল- দিনে একটি আপেল খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ তো ঠিক থাকেই, তার পাশাপাশি আরও নানা উপকার পাওয়া যায়। আবার সমপরিমাণে বিট ও আপেলের রস মিশিয়ে পান করতে পারেন।
বেদানা- এই ফলটি আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা, ফাইবারে সমৃদ্ধ। বেদানা দেহে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন একটি বেদানা খান। এমনকি বেদনার জুস পান করলেও সুফল পেতে পারেন।