গাদা গাদা ওষুধ না খেয়েও কোলেস্টেরল কমিয়ে ফেলা সম্ভব। শুধু দেখে নিন কী কী খেতে হবে আপনাকে।
1/6 আপনার রক্তে খুব বেশি কোলেস্টেরল থাকলে উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা দেখা দেয়। হাই কোলেস্টেরল হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিসের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে। তবে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন খুব সহজে। দেখুন সেক্ষেত্রে কী কী খাবেন--
2/6 ওটমিল, রাজমা, আপেল এবং ব্রাসেলস স্প্রাউট পাওয়া দ্রবণীয় ফাইবার রক্তের কোলেস্টেরলের শোষণ কমাতে সাহায্য করে। দুগ্ধজাত পণ্যে থাকা প্রোটিন আর গুড কোলেস্টেরল খুব উপকারি। ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার, যেমন সলমন মাছ, আখরোট এবং ফ্ল্যাক্স সিড স্বাস্থ্যকর টিস্যু তৈরি করতে সাহায্য করে।
3/6 আপনি যদি অ্যালকোহল পান করতে পছন্দ করেন তবে এটি আপনার কোলেস্টেরলের সমস্যার জন্য মোটেও ভালো নয়। মদ ছেড়ে দিতে হবে আপনাকে। অ্যালকোহল আপনার শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতেও দায়ী, তাই মদ্যপান ত্যাগ করুন।
4/6 যদি আপনার ওজন বেশি হয় বা আপনি খুব মোটা হন, তাহলে আপনার ওজন কমাতে হবে সবার আগে। ওজন বৃদ্ধি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াবে, যা আপনার ধমনী এবং রক্তনালীতে নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন কমাতে প্রচুর ফল, সবজি, বাদাম, বীজ, গোটা শস্য খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এছাড়াও প্রচুর জল পান করতেই হবে আপনাকে।
5/6 ধূমপান হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়, যা ধমনীর দেওয়ালে এবং কোলেস্টেরল তৈরিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে। তামাক ত্যাগ করলে এইচডিএল কোলেস্টেরলের (গুড কোলেস্টেরল) মাত্রা বাড়ে। সবচেয়ে ভালো কথা হল ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার এক বছরের মধ্যেই আপনার শরীর তাঁর প্রভাব বুঝতে পারবে।
6/6 ব্যায়াম মানে এই নয় যে আপনাকে শুধু জিমে গিয়েই ওয়ার্কআউট করতে হবে। আপনি ঘরে বসেও হালকা ওয়ার্কআউট করতে পারেন। বাড়িতে হলেও রোজ ব্যায়াম করা উচিত। এটি আপনাকে সক্রিয় রাখতে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আপনাকে অবশ্যই ধ্যান, যোগব্যায়াম এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে হবে।