হেঁচকি একটি খুব পরিচিত বিষয়। কখনও না কখনও আমরা সকলেই এই সমস্যায় ভুগে থাকি। আর একবার হেঁচকি ওঠা মানে সেটা সহজে থামার নাম নেবে না। আবার কখনও সহজেই সেটা থেমে যায়। মনে করা হয় কেউ নাম করলে নাকি হেঁচকি ওঠে। কিন্তু কখন হেঁচকি ওঠে সেটা খেয়াল করেছেন কখনও?
মূলত আমরা যখন খুব দ্রুত কোনও খাবার খাই, মানে তাড়াহুড়ো করে কোনও খাবার খাই, বা এক সঙ্গে অনেকটা জল খাই কিংবা খুব মশলাদার খাবার খাই যখন তখনই মূলত এই সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু আদতে জিনিসটা কী?
আমাদের ডায়াফ্রামে যে পেশি রয়েছে, সেটার যখন সংকোচন হয়, তখন হেঁচকি ওঠে। আর এটি আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে বেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। হেঁচকি ওঠে যখন তখন ইন্টারকস্টাল মাসল সংকুচিত হয়ে যায়। আর তাতে হেঁচকি ওঠে। আর হেঁচকির শব্দ আসে কারণ হেঁচকির জন্য আমাদের ভোকাল কর্ডগুলো যখন ভীষণ কাছে চলে আসে এবং বন্ধ হয়ে যায়। তাই এই শব্দ হয়।
হেঁচকি কীভাবে বন্ধ করবেন?
অনেকে অনেক বুদ্ধি দিয়ে থাকেন হেঁচকি থামানোর জন্য। অনেকের মতেই জোর করে ভয় দেখালে নাকি হেঁচকি থেমে যায়। কিংবা জল খেলে নাকি হেঁচকি বন্ধ হয়। কিন্তু এই টোটকাগুলোর একটিও কিন্তু কাজের কাজ করে না। তাহলে কী করে হেঁচকি বন্ধ হবে?
হেঁচকি ওঠা বন্ধ করতে চাইলে মিনিট পাঁচেক পায়চারি করুন। বা একটু গরম জল ফুটিয়ে নিয়ে তাতে এক চামচ এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে আরও বেশ খানিকক্ষণ ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে খেয়ে নিন। উপকার পাবেন।
একটু চিনি খান। ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান উপকার মিলবে।
গোলমরিচের গন্ধ শুঁকুন। এর ঝাঁঝে হাঁচি শুরু হবে ঠিকই, কিন্তু হেঁচকি বন্ধ হয়ে যাবে।
নিয়মিত সূর্য নমস্কার এবং প্রাণায়াম করুন। এটা হেঁচকি বন্ধ করতে ভীষণই সাহায্য করে থাকে।
জল খান। জল খেলে হেঁচকি বন্ধ হয়।
আদার রস হেঁচকি বন্ধ করে। এক টুকরো আদা নিয়ে সেটা চিবিয়ে খান। উপকার পাবেন।
আপনার সন্তানের বা বাড়ির কোনও শিশুর যদি হেঁচকি ওঠে সেটা বন্ধ করার জন্য দই দিতে পারেন।