অযোধ্যায় ভগবান রামলাল্লার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান উপলক্ষে ৬ হাজার কেজি হালুয়া প্রস্তুত করা হয়। মহারাষ্ট্রের কোরাডিতে শ্রী মহালক্ষ্মী জগদম্বা মন্দিরে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের উপস্থিতিতে এই হালুয়া প্রস্তুত করা হয়। তবে রাঁধুনি কে? অযোধ্যায় বিষ্ণুই ‘রামলাল্লা’র জন্য ভোগ রাঁধবেন! এ বিষ্ণু অবশ্য সেই ‘বিষ্ণু’ নন। নাগপুরের বাসিন্দা বিষ্ণু মনোহর বিখ্যাত রন্ধনশিল্পী। তিনি স্থির করেছেন, অযোধ্যায় মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে রামের জন্য সাত হাজার কেজি ভোগ তৈরি করবেন। সেই ভোগ বিলি করা হবে দেড় লক্ষেরও বেশি দর্শনার্থীদের মধ্যে। ভোগের নামও দিয়েছেন বিষ্ণু— ‘রাম হালুয়া’।
বিষ্ণুই জানান, রামের ভোগ হিসাবে সুজির হালুয়া তৈরি করবেন তিনি। তাতে থাকবে প্রায় ৯০০ কিলো সুজি, ১০০০ কিলো ঘি, ১০০০ কিলো চিনি, প্রায় ২০০০ লিটার দুধ এবং কয়েকশো কেজি ড্রাই ফ্রুট। এই ভোগ রাঁধার জন্য নিজেই তৈরি করিয়েছেন এক সুবিশাল কড়াই। যার ওজন প্রায় ১৪০০ কেজি। বিষ্ণুর দাবি, এই কড়াইয়ে অনায়াসে ৭০০০ কেজি বা ১২ হাজার লিটার রান্না করা সম্ভব।
কিন্তু ফড়নবিশ জানান, এই উদ্যোগটি মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের সদস্য চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলের নেতৃত্বে নেওয়া হয়েছে এবং বিখ্যাত শেফ বিষ্ণু মনোহর এই উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের সবচাইতে বড় কড়াই যাকে হনুমান কড়াই বলা হয়, তাতে করা হয় এই হালুয়া।’
অন্যদিকে, বিষ্ণু বলেন, ‘আমার ভাল লাগছে এটা ভেবে, অযোধ্যায় প্রথম যে ভোগ বিলি করা হবে, তাতে নাগপুরের গন্ধ থাকবে। আমি বিদর্ভের রামভক্তদের প্রতিনিধিত্ব করব অযোধ্যায়।’
রন্ধনশিল্পী বিষ্ণু মনোহরের কথায়,‘আমরা করসেবক হিসেবে এই উদ্যোগের নাম দিয়েছি পাক সেবা৷ আমাদের আবেগ মিশে আছে এর সঙ্গে৷’ রাম জন্মভূমি উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিষ্ণু মনোহর৷ এর আগে তিনি অযোধ্যায় কর সেবকের দায়িত্বও পালন করেছেন৷
২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিত ছিলেন৷ অযোধ্যায় এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণপত্র পৌঁছেছে দেশ বিদেশে বহু গুরুত্বপূর্ণ অতিথির কাছে৷ মন্দির উদ্বোধন এবং রামলালার বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ সম্পন্ন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে। তিনিই ছিলেন অনুষ্ঠানের ‘প্রধান যজমান’। তাঁর সঙ্গে গর্ভগৃহে ছিলেন মোহন ভাগবত, যোগী আদিত্যনাথ এবং অন্যান্যরা। মন্দির চত্বরে ১১ দিনের উপবাস ভঙ্গ করেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর মঞ্চে ওঠেন যোগী। এই সভাতেই বক্তৃতা করবেন মোদী।