বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Indian Flag: একবারে এই চেহারা নেয়নি জাতীয় পতাকা, জেনে নিন তেরঙার ইতিহাস

Indian Flag: একবারে এই চেহারা নেয়নি জাতীয় পতাকা, জেনে নিন তেরঙার ইতিহাস

জেনে নিন জাতীয় পতাকার ইতিহাস।

Independence Day 2022: দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের মতোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় পতাকার ইতিহাসও। কীভাবে জাতীয় পতাকা এই রূপ পেয়েছে? জেনে নিন সেই ইতিহাস।

স্বাধীনতার পরে ৭৫ বছর পেরিয়ে এসেছে দেশ। এই স্বাধীনতা পেতে কম লড়াই করতে হয়নি। দেশের সেই স্বাধীনতার ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবের। কিন্তু একই সঙ্গে যে জাতীয় পতাকার ইতিহাসও অত্যন্ত গর্বের এবং ঘটনাবহুল— তা হয়তো অনেকেই জানেন না।

নানা বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে শেষ পর্যন্ত জাতীয় পতাকা এই রূপ পেয়েছে। কীভাবে বদল হয়েছে জাতীয় পতাকার। এক ঝলকে রইল জাতীয় পতাকা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য। (আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা তো তুলবেন, কিন্তু এটি ভাঁজ করার নিয়ম জানেন কি)

  • ভারতের নিজস্ব পতাকা থাকা উচিত। এ কথা এক সময়ে বলেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। তিনি বলেন, ‘দেশের নিজস্ব পতাকা দরকার। এর জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন।’
  • ভারতের বর্তমান জাতীয় পতাকা অনুভূমিকভাবে তিনটি সমান ভাগে বিভক্ত। উপরে গাঢ় গেরুয়া, মাঝখানে সাদা এবং নীচে গাঢ় সবুজ। সাদা অংশে গাঢ় নীল রঙের অশোক চক্র। 
  • জাতীয় পতাকার লম্বা এবং চওড়ার দিকের অনুপাত ৩:২। 
  • মাঝের অশোক চক্রের ব্যাস, সাদা অংশের চওড়া দিকের মাপের প্রায় সমান সমান। 

এ তো গেল বর্তমান জাতীয় পতাকার গঠন বিন্যাস। এবার আসা যাক, এর বিবর্তনের ইতিহাসে। জেনে নিন, কীভাবে জাতীয় পতাকা বর্তমান রূপ পেয়েছে। (আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলতে চান? নিয়মগুলি এখনই জেনে নিন)

  • ভারতের প্রথম জাতীয় পতাকাটি উত্তোলন করা হয় ১৯০৬ সালে। যদিও সেটি আনুষ্ঠানিক জাতীয় পতাকা ছিল না। ওই বছরের ৭ অগস্ট কলকাতায় সেটি উত্তোলন করা হয়। এটিও ছিল তিন রঙের। কিন্তু তাতে ছিল লাল, হলুদ এবং সবুজ রং। সেই তিনটি রঙও তিনটি অনুভূমিক ভাগে বিভক্ত ছিল। মাঝের হলুদ রঙের মধ্যে দেবনাগরী লিপিতে ‘বন্দে মাতরম’ লেখা ছিল, সবুজ অংশে ৮টি আধ-ফোটা পদ্মফুল ছিল।
  • ১৯০৭, ১৯১৭ এবং ১৯২১ সালে বারবার পতাকার চেহারা বদলায়। সব সংশোধনের পরে ১৯৩১ সালে অবশেষে জাতীয় পতাকা প্রায় বর্তমানের চেহারা পায়। লাল রং বদলে হয় গাঢ় গেরুয়া, হলুদ বদলে হয় সাদা। একমাত্র সবুজ রয়ে যায়। পিঙ্গালি ভ্যাঙ্কায়া পূর্ববর্তী পতাকাটিকে নতুন করে বিন্যাস করেন।
  • জাতীয় পতাকার রংগুলির মধ্যে গেরুয়া বলতে শক্তি বোঝায়, সাদা সত্যের প্রতীক এবং সবুজ বলতে বোঝায় উর্বরতা। প্রথমে যে পতাকা গ্রহণ হয়েছিল, তার ‘বন্দে মাতরম’-এর জায়গায় নতুন পতাকার কেন্দ্রে আসে গান্ধীজির চরকা। 
  • বর্তমান জাতীয় পতাকার যে চেহারা তা এসেছে ১৯৪৭ সালের ২২ জুলাই। এ সময়ে আরও একটি সংশোধন ঘটে। তখন স্বাধীন ভারতের জাতীয় পতাকার কেন্দ্রে অশোকের চক্র আসে।

১৯৪৭ সালে গৃহীত পতাকাটি ১৯৩১ সালে অনুমোদিত পতাকাটির মতোই ছিল। ব্যতিক্রম বলতে ছিল সম্রাট অশোকের ধর্ম চক্র। এটি মহাত্মা গান্ধীর চরকার বদলে পতাকার কেন্দ্রে বসে। 

এভাবেই আমাদের স্বাধীন ভারত তার জাতীয় পতাকা পায়। এর রঙের কোনও ধর্মীয় তাৎপর্য নেই। 

বন্ধ করুন