সাধারণত সমস্ত জায়গায় দেখা যায় মহিলারা পুজোর সমস্ত আচার, অনুষ্ঠান করে থাকেন। পুরোহিতদের হাতে হাতে কাজ করে দেওয়া হোক বা যে কোনও নিয়ম সবেতেই এগিয়ে আসেন মহিলারাই। তবে এই পুজো সেখানে দাঁড়িয়ে খানিক যেন ব্যতিক্রমী। কৃষ্ণনগরের এই জগদ্ধাত্রী পুজোয় মহিলারা নন, বরং পুরুষরা বরণ করেন দেবীকে, করেন অন্যান্য সমস্ত আচারও। তবে পুরুষবেশে নয়, মহিলারবেশে সমস্ত আচার পালন করেন তাঁরা।
কৃষ্ণনগরের অদ্ভুত জগদ্ধাত্রী পুজো
জগদ্ধাত্রী পুজোর আগের দিন মহিলারা এখানে পুরুষদের শাড়ি পরিয়ে দেন। তারপর তাঁরাই নিয়ম আচার সমস্ত পালন করেন নিষ্ঠাভরে। ভাবছেন কোথায় হয় এই পুজো? কৃষ্ণনগরের মালোপাড়ায় এই বিশেষ রীতিতে পুজো হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: সৌরভের নাম ভাঙিয়ে ভিনরাজ্যে সুবিধা নিচ্ছেন বহু বাঙালি! দাদা বললেন, 'কতজন যে এভাবেই...'
আরও পড়ুন: 'ধর্ষকদের আবার দিবস কিসে?' পুরুষ মাত্রেই অত্যাচারী-নির্যাতক? তসলিমার পোস্ট ঘিরে হইচই!
বছরের পর বছর ধরে শাড়ি পরেই এখানকার ছেলেরা জল ভরতে যান পুজোর জন্য, তখনই তিন দেবতার মন্দিরে এসে তাঁদের আমন্ত্রণ জানিয়ে যান দেবী জলেশ্বরীর পুজোয়, এখানে দেবী জলশ্বেরীই পূজিতা হন। তবে এই পুজোর যে কেবল এটাই আকর্ষণ সেটাই নয়। দেবী জলেশ্বরীর পুজোর আরও একটি বিশেষত্ব হল এর ধুনো পোড়ানো। কেউ মাথায় কেউ আবার দুই হাতে ধুনো পোড়ান।
এ কথা সকলেই জানেন যে নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন ঘটিয়েছিলেন। তাঁকে নবাব আলিবর্দি খাঁ যখন ১২ লাখ টাকা না দেওয়ার কারণে বন্দি বানান তখন বাংলার শ্রেষ্ঠপুজো দুর্গাপুজোর সময় পেরিয়ে যায়, সেবার ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন তিনি। সেই কষ্ট ভুলে তখন তিনি দুর্গাপুজোর পরে এই সময়ে শুরু করেন জগদ্ধাত্রী পুজো। কৃষ্ণনগরের সেই পুজোর পর অন্যতম প্রাচীন পুজো হল এই দেবী জলেশ্বরীর পুজো।