দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে চুটিয়ে কাজ করার পর অবশেষে ছুটি নিলেন ইসে মিয়াকে। চলে গেলেন চিরনিদ্রার দেশে। তাঁর এক কর্মচারী এই দুঃসংবাদ জানিয়েছেন। তবে যিনি এই খবরটি জানিয়েছেন, তিনি নিজের নাম গোপন রেখেছেন। শুধু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ৫ অগস্ট পরলোক গমন করেছেন মিয়াকে।
তাঁর শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন কেবল নিকটজন, আত্মীয়রা। কোনও আনুষ্ঠানিক শোভাযাত্রা করতে চাওয়া হয়নি তাঁর শেষ যাত্রায়। পরিবারের তরফে বাইরের কেউ উপস্থিত থাকুক, সেটা চাওয়া হয়নি বলেই জানানো হয়নি এই খবর। তবে এই খবর যে সত্য তা নিশ্চিত করেছে জাপানের একাধিক মিডিয়া, যেমন এনএইচকে।
মিয়াকে তাঁর কর্ম জীবন শুরু করেছিলেন ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি থেকে। প্যারিস থেকেই তিনি তাঁর কাজ শুরু করেন। তিনি তাঁর সুদক্ষ ছাপ রেখে গিয়েছেন আরামদায়ক পোশাক, হাউট ক্যুচারে যাকে তিনি বলতেন ‘সিম্পলি মেকিং থিংস’। তাঁকে অনেকেই ফ্যাশন দুনিয়ার ‘আধুনিকতার প্রতিমূর্তি’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ইশে মিয়াকে ১৯৩৮ সালে হিরোশিমায় জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ৯ বছর বয়স যখন, আমেরিকা সেখানে পরমাণু বোমা ফেলেছিল। যদিও তিনি সেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন যা ১,৪০,০০০-এরও বেশি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলেছিল। এর পরে তিনি ১৯৭০ সালে টোকিয়োতে মিয়াকে ডিজাইন স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর প্যারিসে তাঁর প্রথম বুটিক খোলেন।