কোষকে শক্তি প্রদান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গ্লুকোস। এই কোষই পেশি ও কলা গড়ে তোলে। তবে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা যায়। দু ধরনের ডায়বেটিস চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এগুলি হল টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়বেটিস। এর মধ্যে টাইপ ২ ডায়বেটিসে অধিক মারাত্মক।
রক্তে শর্করার পরিমাণ কত বেশি তার ওপর নির্ভর করে ডায়বেটিসের লক্ষণ। কখনও কখনও ডায়বেটিসের লক্ষণ এতই সাধারণ বা মাঝারি আকারের হয়, যা অনেকেই উপেক্ষা করে যান। এখানে টাইপ-২ ডায়বেটিসের লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করা হল—
দুর্বল দৃষ্টিশক্তি- রক্তে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত শর্করা চোখের ক্ষুদ্র রক্তবাহিকাগুলিকে নষ্ট করে দিতে পারে। যাঁর ফলে ব্যক্তি দৃষ্টিশক্তি অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। সঠিক সময় চিকিৎসা করা না-হলে ব্যক্তি দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলতে পারে।
চুলকানি ও ইস্ট সংক্রমণ- রক্ত ও মূত্রে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ইস্টের পরিমাণ অত্যধিক হারে বাড়তে পারে। বিশেষত যৌনাঙ্গে ইস্টের পরিমাণ বাড়ে অত্যধিক হারে। এর ফলে চুলকানি ও জ্বালা করতে পারে। পাশাপাশি লাল হয়ে যাওয়া বা ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
সবসময় ক্ষিদে পাওয়া- মধুমেহর শিকার হয়ে থাকলে ব্যক্তির অত্যধিক ক্ষিদে পেতে পারে। কারণ এ সময় শর্করা রক্ত থেকে কোষে কোষে পৌঁছয় না।
বার বার মূত্রত্যাগ- রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে কিডনি প্রয়োজনাতিরিক্ত গ্লুকোসকে নির্গত করার চেষ্টা করে। এর ফলে বার বার মূত্র ত্যাগের প্রবণতা দেখা দেয়।
তেষ্টা বৃদ্ধি পাওয়া- বার বার মূত্র ত্যাগ করলে শরীরে জলের অভাব দেখা দেয়, এর ফলে ব্যক্তি তৃষ্ণার্ত থাকে।
ক্ষত সেরে উঠতে সময় লাগে- টাইপ-২ ডায়বেটিসের অন্যতম লক্ষণ হল, এর ফলে ক্ষত সেড়ে উঠতে সময় লাগে। রক্ত চলাচলের গতি কমে যাওয়ায়, ক্ষত স্থানে পুষ্টিকর উপাদান দেরিতে পৌঁছয়, যার ফলে এটি নিরাময় সময় লাগে।
ক্লান্তি- রক্তনালি থেকে শরীরের বিভিন্ন কোষে অপর্যাপ্ত পরিমাণে শর্করা পৌঁছনোয় ব্যক্তি ক্লান্ত অনুভব করে থাকে।
ত্বকে কালো বা গাঢ় ছোপ- এ সময় গলা, বাহুমূল, কুঁচকি (ঊরু ও কোমরের সন্ধিস্থল)-র ত্বক কালো হয় বা ভেলভেটের মতো হয়ে যায়, একে অ্যাকান্থসিস নিগ্রিকানস বলা হয়। রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ অতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেলে এমন হয়ে থাকে।