1/5 আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন বাংলার মহাতারকা মিঠুন চক্রবর্তী। ৭৩ বছর বয়সী অভিনেতার মস্তিষ্কের ইস্কেমিক সেরিব্রোভাসকুলার অ্যাক্সিডেন্ট (স্ট্রোক) ধরা পড়েছে। জানিয়েছে অ্যাপোলো হাসপাতার কর্তৃপক্ষ। তবে বলা হচ্ছে, তিনি বর্তমানে সম্পূর্ণ সচেতন ও ভালো আছেন। এই তথ্য মিলেছে হাসপাতালের মেডিক্যাল বুলেটিন থেকে। কী এই ‘ইস্কেমিক সেরিব্রোভাসকুলার অ্যাক্সিডেন্ট’? কোন লক্ষণ দেখলেই এই রোগের বিষয়ে সচেতন হওয়া যায়? নজরে রাখা যাক, কিছু বিষয়।
2/5 সেরিব্রোভাসকুলার অ্যাকসিডেন্ট কী- বলা হয় ব্রেন স্ট্রোক খুব নীরবে হানা দেয় শরীরে। ব্যক্তি যে এতে আক্রান্ত হয়েছেন, তা প্রাথমিকভাবে সেভাবে বুঝেও উঠতে পারেন না। মূলত, চিকিৎসা পরিভাষায় সেরিব্রোভাসকুলার অ্যাকসিডেন্ট (সিভিএ) হল স্ট্রোক। একটি স্ট্রোক হল যখন আপনার মস্তিষ্কের একটি অংশে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় একটি ব্লকেজ বা রক্তনালী ফেটে যাওয়ার কারণে। ইস্কেমিক শব্দের অর্থ হল, ইস্কেমিক মানে হল শরীরের কোনও একটি অঙ্গে (যেমন, হৃদপিণ্ড) পর্যাপ্ত রক্ত এবং অক্সিজেন পাচ্ছে না।
3/5 সেরিব্রোভাসকুলার অ্যাক্সিডেন্ট কত ধরনের হয়- এই ধরনের অ্যাক্সিডেন্ট বা স্ট্রোকের দুটি ভেদ থাকে। একটি হল ইসকেমিক স্ট্রোক আরেকটি হল হেমোরেজিক স্ট্রোক। এরমধ্যে ইস্কেমিক স্ট্রোক সাধারণত বেশি দেখা যায় তুলনায়।
4/5 সেরিব্রোভাসকুলার অ্যাক্সিডেন্ট-র উপসর্গ- বলা হচ্ছে, এই ধরনের শারীরিক সমস্যার লক্ষণগুলি হল, হাঁটতে অসুবিধা, মাথাঘোরা ভাব, চলতে গিয়ে ভারসাম্য হারানো। এছাড়াও কথা বলতে সমস্যা হওয়া, বা কেউ কিছু বললে তা বুঝতে সমস্যা হয়, এছাড়াও শরীরের একাংশ অসাড় লাগতে পারে। মুখে, গায়ে, হাতের একাংশে প্যারালাইসিস মতো হতে পারে, তবে তা একদিকে হবে। এছাড়াও হঠাৎ করে মাথার যন্ত্রণা, বমিভাব, গা গুলানোর মতো অনুভূতি হতে পারে।
5/5 অবশ্যই এমন শারীরিক পরিস্থিতিতে যথা সম্ভব তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি। হেমোরেজিক স্ট্রোকের ক্ষেত্রে প্রেশার কমানোর চেষ্টা করা হয়, আর ইস্কেমিকের ক্ষেত্রে ক্লট ভাঙার চেষ্টা করা হয়। প্রাথমিকভাবে ব্লাড টেস্ট, সিটি স্ক্যান, ইকোকার্ডিও গ্রাম, এমআরআই, ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রামের মতো টেস্ট দেওয়া হয়ে থাকে। (এই প্রতিবেদনের তথ্য কেবল সচেতনতামূলক। বিশদ জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জরুরি )