কোভিড মানেই নাক থেকে জল পড়া বা গলা ব্যথার মতো পরিচিত উপসর্গ। তবে ঘনঘন চেহারা পাল্টাচ্ছে ভাইরাস। সেই সঙ্গে উপসর্গগুলির চেনা দৃশ্য বদলে যাচ্ছে দিনদিন। বর্তমানে কোভিডের পাশাপাশি ভাবিয়ে তুলছে কোভিড পরবর্তী রোগ। যেভাবে এই ভাইরাস আরও গুরুতর রোগ ডেকে আনছে তা নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসকরা। ঘন ঘন কোভিডের নতুন স্ট্রেনের আক্রমণের কারণে উপসর্গে পরিবর্তন আসছে। দেখা দিচ্ছে নতুন উপসর্গ। নতুন ওমিক্রন ভাইরাস সংক্রমণের মাঝেই এমন আশঙ্কার বাণী শোনাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, ম্যালজিয়া নামক একটি বিশেষ উপসর্গ প্রধান হয়ে উঠছে ভাইরাসের ঘন-ঘন আক্রমণে। নাক থেকে জল পড়া, গলা ব্যথা, মাথা ধরা, বমির মতো উপসর্গ টোভিড শুরু সময় থেকেই ছিল। ঠান্ডা লেগে ভাইরাল জ্বর হওয়ার মতো বেশ কিছু উপসর্গ দেখা গিয়েছিল কোভিডে। তবে এর সঙ্গে বর্তমানে যুক্ত হচ্ছে ম্যালজিয়া। চিকিৎসকদের কথায়, এই উপসর্গ দিয়ে কোভিড বা ওমিক্রন চিহ্নিত করা যেতে পারে।
জো কোভিড অ্যাপ রোগীদের কোভিড উপসর্গ লিখে রাখতে সাহায্য করে। সেই আ্যপের তথ্য অনুযায়ী শিখরে রয়েছে ম্যালজিয়া উপসর্গ।
ম্যালজিয়া কী?
ঘাড় ও পায়ের পেশিতে ব্যথার উপসর্গ হল ম্যালজিয়া। শরীরে ভাইরাস সংক্রমণ ছড়ালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক ধরনের প্রদাহজনিত কণা ত্যাগ করে। এটিই বিজ্ঞানের পরিভাষায় ম্যালজিয়া। জো কোভিড অ্যাপটি কোভিড রোগীদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি। কেউ ভাইরাস সংক্রমিত হলে এখানে তার তথ্য ভাগ করে নিতে পারেন। তেমনই অসংখ্য রোগীর তথ্য জমা পরে অ্যাপটিতে। সম্প্রতি তাদেরই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এমন ফল। জানা গিয়েছে কোভিডের উপসর্গ হিসেবে এতদিন মাথাব্যথা, সর্দি, কাশি থাকলেও সম্প্রতি প্রধান হয়ে উঠছে ম্যালজিয়া। আক্রান্তদের বেশিরভাগই এই সমস্যায় ভুগছেন।
চিকিৎসক অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি প্রথম ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট আবিষ্কার করেন। তাঁর কথায়, যাঁরা ভাইরাসের টিকা নেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে গুরুতর হতে পারে এই উপসর্গ। টিকা নেওয়া থাকলে কিছুটা কম গুরুতর হয় ম্যালজিয়া।
ব্যথা কতটা গুরুতর হতে পারে?
বিশেষজ্ঞদের কথায়, খুব সামান্য থেকে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে ম্যালজিয়ায়। এর সঙ্গে ক্লান্তিও চেপে ধরে আক্রান্তকে। কখনও কখনও ব্যথা এতটাই বাড়ে যে রোজকার কাজকর্ম করাও বন্ধ হয়ে যায়। তবে একটা সুবিধা হল, এই উপসর্গ সংক্রমণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে দ্রুত পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াই ভালো।