বাংলা নিউজ >
টুকিটাকি > Puri Jagannath temple corridor: ভিড়ে পড়তে হবে না, দ্রুত হবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দর্শন- চালু ৮০০ কোটির করিডর
Puri Jagannath temple corridor: ভিড়ে পড়তে হবে না, দ্রুত হবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দর্শন- চালু ৮০০ কোটির করিডর Updated: 17 Jan 2024, 06:33 PM IST Ayan Das বাঙালির অন্যতম পছন্দের ডেস্টিনেশন হল পুরী। আর পুরীতে গেলে জগন্নাথ মন্দিরে যাবেন না, সেটা হয় না। আবার কেউ-কেউ তো জগন্নাথ মন্দিরে মানত করে আসেন। তা পূরণ হলেও পুজো দিতে যান। আর পুরীর সেই জগন্নাথ মন্দিরে এবার ৮০০ কোটি টাকার করিডরের উদ্বোধন করল ওড়িশা সরকার। 1/5 পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের হেরিটেজ করিডরের উদ্বোধন করলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। বুধবার পুরীর মহারাজ গজপতি দিব্য সিং, প্রায় ৯০টি মন্দিরের প্রতিনিধি এবং হাজার-হাজার ভক্তের উপস্থিতিতে সেই 'শ্রীমন্জির পরিক্রমা প্রকল্প'-র উদ্বোধন করেন। তারপর তিনি বলেন, ‘জগন্নাথদেবের আশীর্বাদের কারণে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।’ ৮০০ কোটি টাকায় সেই করিডর তৈরি করা হয়েছে। (ছবি সৌজন্যে এএনআই) 2/5 ওই ৮০০ কোটি টাকার করিডরের ফলে যাঁরা পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দর্শনে যাচ্ছেন, তাঁরা অত্যন্ত লাভবান হবেন। কারণ সেখানে পার্কিং এলাকা এবং ব্রিজ গড়ে তোলা হয়েছে। ভক্তদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য আছে রাস্তা। আছে পুণ্যার্থীকেন্দ্র, জিনিসপত্র রাখার জায়গা, শৌচাগারের মতো পরিকাঠামো। দর্শনার্থীরা যাতে বিশ্রাম নিতে পারেন, সেজন্যও বিশেষ কক্ষের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। (ছবি সৌজন্যে এএনআই) 3/5 আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২০২১ সালে সেই 'শ্রীমন্দির পরিক্রমা' প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছিল। ২২টি উন্নয়নমূলক প্রকল্প মিলিয়ে সেই করিডর গড়ে তোলা হয়েছে। 'মেঘনাদ পাচেরি' (মন্দিরের ২৪ ফুট লম্বা দেওয়াল) লাগোয়া সাত মিনিটের একটি বাফার জোন, ১০ মিটারের 'অন্তর পরিক্রমা' (ভক্তরা পরিক্রমা করতে পারবেন), আট মিটারের 'পরিক্রমা পথ', বিশ্রামঘর (একসঙ্গে ৪,০০০ পরিবার থাকতে পারে, বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। আছে গাছে মোড়া সাত মিটারের ফুটপাথ, ৭.৫ মিটারের মিক্সড ট্র্যাফিক লেন (গাড়ি চলাচল মসৃণ হবে), ৪.৫ মিটারের এমার্জেন্সি লেনও। (ছবি সৌজন্যে এএনআই) 4/5 ওই করিডরের মধ্যে যে ব্রিজ আছে, তা দ্রুত পুরীর জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৬০ মিটার চওড়া ওই ব্রিজের ফলে যে গাড়িগুলি ওড়িশার রাজধানী ভুবনেশ্বর থেকে আসছে, সেগুলি শহরের যানজটের যন্ত্রণায় না ভুগেই সরাসরি মন্দিরের পার্কিং এলাকায় চলে যেতে পারবে। মন্দিরের ৬০০ মিটার দূরে অবস্থান করছে ওই পার্কিং এলাকা। (ছবি সৌজন্যে এএনআই) 5/5 তবে সেখানেই উন্নয়নের কাজ থামছে না। ওড়িশা সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েক মাসের মধ্যেই পরবর্তী পর্যায়ের কাজ শুরু হবে। সেই পর্যায়ে একটি রিসেপশন সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। তাতে ৬,০০০ জন পুণ্যার্থী থাকতে পারবেন। নতুন করে রঘুনন্দন লাইব্রেরি গড়ে তোলারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। যে লাইব্রেরিতে জগন্নাথ মন্দিরের দুর্লভ বই ও পুঁথি থাকবে। (ছবি সৌজন্যে এএনআই)