যুদ্ধ লড়ছে রাশিয়া, তাও আবার ইউক্রেনে। কিন্তু সেখানেও ভারতীয় বংশোদ্ভুত বিহার থেকে রাশিয়া যাওয়া এক মানুষের সমর্থন রয়েছে। ড. অভয় কুমার সিংহ নামটা ভারতে পরিচিত না হলেও, রাশিয়াতে কিন্তু দিব্যি চেনা। রাশিয়ার কুর্সক শহরের এমএলএ (রাশিয়াতে যাকে বলে ডেপুতাট) কিন্তু দোষারোপ করেছেন প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনকেই। তার মতে, যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল ইউক্রেনকে আলোচনার জন্য কিন্তু তারা আদৌ আন্তরিক ছিল না। তার ফলে রাশিয়ার কাছে আক্রমণ না করে বিকল্প ছিল না।
এই ড. অভয় কুমার সিং কিন্তু যে সে মানুষ নন, এক্কেবারে রাশিয়ায় ক্ষমতাসীন ইয়েদিনায়া রোসিয়া পার্টির সদস্য, যার মাথায় রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পাটনায় জন্ম অভয় কুমার সিং ১৯৯১ সালে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন রাশিয়ায়। পরবর্তীকালে ভারতে ফিরে এসে ডাক্তারি শুরু করলেও ফার্মাসিউটিক্যাল ব্যবসা নিয়ে আবার ফেরেন রাশিয়ায়। ২০১৫ সালে যোগদান করেন পুতিনের দলে আর ২০১৮ সালে রাশিয়ার কুর্সক শহর থেকে স্থানীয় নির্বাচনে জিতে যান। বলাই বাহুল্য, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে খুব দূরে নেই অভয় কুমার সিং। ঘটনাচক্রে রাশিয়ার কুর্সক শহর ইউক্রেনের সীমানা থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে।
তবে নিজের জন্মভূমি থেকে দূরে থাকলেও, ভারতের প্রতি আবেগ ও ভালোবাসা অটুট। তাই অভিযোগ করেছেন যে ইউক্রেনের প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষ ভারতীয়দের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছেন। তার সঙ্গে মারাত্মক অভিযোগ জানিয়েছেন যে, ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের অনেককেই কিয়েভ বা খারকিভের মতো শহর থেকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে জানিয়েছেন, শক্তপোক্ত রাশিয়ান অর্থনীতি প্রস্তুত যে কোনও রকম পরিস্থিতি সামলানোর জন্য। এমনকী এর সঙ্গে আশ্বস্ত করেছেন যে রাশিয়ান মানুষরা ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলছেন, এটি সম্পূর্ণ গুজব!
সময় বলবে অভয় কুমার সিং বাস্তবের মুখোমুখি হয়ে বলছেন না দেশাত্মবোধ থেকে রাশিয়ান মানুষদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য বলছেন। তবে নীতিশ কুমার আর লালু প্রসাদের রাজ্য থেকে আসা অভয় কুমার সিং কিন্তু বীরদর্পে যুদ্ধ নিয়ে বক্তব্য রাখছেন।