চায়ের দোকান থেকে চা খেতে খেতে অনেকেই পাশের দোকানের সামনে গিয়ে দাত বাড়িয়ে দেন। ‘দাদা, একটা সিগারেট দিন তো!’ চায়ের সঙ্গে ‘টা’য়ের মতো করেই অনেকের এই বদঅভ্যাসটি থেকে যায়। এমনিতে হয়তো প্রচুর ধূমপান করেন না তাঁরা। কিন্তু পথ চলতে বা চা পানের সময়ে পাশের দোকান থেকে একটা করে সিগারেট কিনে নিয়ে খাওয়ার অভ্যাস থাকে এমন অনেকেরই। সেই অভ্যাসে এবার ইতি টানতে হবে। তেমনই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার।
কী ভাবা হচ্ছে? যত দূর জানা গিয়েছে, ধূমপানের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য সরকারের তরফে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির তরফেই বলা হয়েছে, সিগারেটের খুচরো বিক্রি বন্ধ করতে হবে। অর্থাৎ আর খোলা প্যাকেট থেকে সিগারেট কেনা যাবে না। কিনতে হলে, পুরো প্যাকেটই নিতে হবে।
কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কমিটি মনে করছে, এতে সিগারেট খাওয়া বা ধূমপানের প্রবণতা কিছুটা কমবে। অনেকেই দামের কারণে পুরো প্যাকেট কেনেন না। কিন্তু তাঁরা খুচরো সিগারেট কিনে নেশা করেন। সেই আসক্তি কাটাতেই এই ব্যবস্থা। খুচরো সিগারেট বিক্রি না হলে বহু মানুষই ধূমপান কমিয়ে দেবেন বলে ধারণা।
নতুন ট্যাক্স আইনের কারণে ভারত সিগারেটের উপর ৫৩ শতাংশ, বিড়ির উপর ২২ শতাংশ এবং তামাকজাত অন্য দ্রব্যের উপর ৬০ শতাংশ জিএসটি বসাতে চলেছে। কিন্তু শুধুমাত্র কর বাড়িয়ে ধূমপানের প্রবণতা খুব বেশি কমানো যায়নি। কমিটির তরফে বলা হয়েছে, ধূমপানের কারণে বাড়ছে ক্যানসারের আশঙ্কা। আর সেই কারণেই এবার এই সিদ্ধান্ত। তবে এখানেই শেষ নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরপোর্ট অনুযায়ী, আগামী দিনে ভারতে তামাকজাত দ্রব্যের উপরে ৭৫ শতাংশ জিএসটি বসতে পারে।