অনেকেরই ধূমপানের অভ্যাস থাকে। কিন্তু অনেক মহিলাই অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ধূমপান ছেড়ে দেন। কিন্তু ধূমপানের ক্ষতিকারক দিকগুলি ছেড়ে নাও যেতে পারে। তেমনই বলছে হালের গবেষণা।
সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব সাদহাম্পটনের কয়েক জন বিজ্ঞানী ভ্রুণের উপর ধূমপানের প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছেন। সেখানেই দেখা গিয়েছে, ধূমপানের অভ্যাস ছেড়ে দিলেও, তার প্রভাব থেকে যায় শরীরে।
কী বলা হয়েছে এই গবেষণায়? বিজ্ঞানীরা বলছেন, যে সব বহু মায়েরা প্রথম বার গর্ভধারণের সময়ে ধূমপান করেন, তাঁদের সেই শিশু স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট হতে পারে। তাদের ওজন ঠিক মতো বাড়তে না পারে। তারা গর্ভে অপুষ্টিতেও ভুগতে পারে। কিন্তু এর চেয়ে আশঙ্কার বিষয়টি হল, এই মায়েরা যদি ধূমপানের অভ্যাস ছেড়ে দেন, তাতেও সমস্যাটি চলে যায় না। দেখা গিয়েছে, তাঁদের অনেকেই দ্বিতীয় বার গর্ভধারণের আগেই ধূমপান ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় সন্তানের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা রয়েই গিয়েছে।
গবেষক দলের প্রধান নিসরিন আলওয়ান জানিয়েছেন, ‘ধূমপানের প্রভাবে গর্ভের কী জাতীয় সমস্যা হতে পারে, তা নিয়ে আগেও কাজ হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল, ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পরেও মায়েদের শরীরে তার কেমন প্রভাব থাকে, এবং তার পরেও গর্ভের ওপর পুরনো এই অভ্যাসের কোনও প্রভাব পড়ে কি না, তা দেখার। সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গিয়েছে।’
২০০৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার মহিলার উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা। দলের অন্যতম সদস্য এলিজাবেথ টেলরের মতে, যাঁরা মা হতে চান, তাঁদের অনেক আগে থেকেই ধূমপানের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ধূমপান ছাড়ার জন্য যা যা করার করতে হবে। কারণ এর প্রভাব শরীর থেকে সহজে যেতে চায় না। বিশেষ করে গর্ভের উপর এর প্রভাব পড়তেই পারে।
গবেষকদের আশা, দু’বার গর্ভধারণের মধ্যবর্তী সময়ে মায়েদের কীভাবে নিজের যত্ন নিতে হবে, তা এই গবেষণার ফল থেকে আরও ভালো ভাবে বোঝা যাবে।