বর্ষা মানেই যেমন ইলিশ মাছে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া, তেমনই জমা জলে জন্ম নেওয়া মশাকে মারতে মারতে হন্যে হয়ে যাওয়ার দিনও এই বর্ষাকাল! এদিকে, এই মরশুম জুড়ে থাকে ডেঙ্গি কিম্বা চিকনগুনিয়ার দাপট। আর এবার মশাবাহিত এই দুই রোগকে নির্মূল করতে উদ্যোগ নিল আইসিএমআর।
আইসিএমআর-এর তরফে জানানো হয়েছে, বর্ষায় মশাবাহিত রোগগুলির দাপট কমাতে তৈরি করা হচ্ছে এক বিশেষ ধরনের মশা। হ্যাঁ! ঠিকই শুনছেন। মশা তৈরি করেই এই রোগের প্রকোপ রোধের পন্থা ঠাওরানো হয়েছে। এই বিশেষ প্রজাতির স্ত্রী মশা তৈরি করা হচ্ছে, যাতে তার লার্ভা থেকে জন্ম নেওয়া মশার শরীরে ওই রোগগুলির ভাইরাস না থাকে। ফলে সহজে ডেঙ্গি কিম্বা চিকনগুনিয়া ছড়িয়েও পড়তে পারবে না। ছাগলের কান ঝুলছে মাটি পর্যন্ত! এমন কান নিয়ে সুপারস্টার পাকিস্তানের 'সিম্বা'
তবে রাতারাতি রোগের প্রকোপ কমবে এমন আশা করা সঠিক নয়। কারণ আইসিএমআরএর ডিরেক্টর অশ্বিনী কুমার জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে এমন মশার ডিম রয়েছে। এবার তাঁরা তা রিলিজ করতে চলেছেন। ফলে ধীরে ধীরে কমবে ডেঙ্গি কিম্বা চিকন গুনিয়ার প্রকোপ। তিনি বলছেন, 'আমরা স্ত্রী মশা দেব। তা পুরুষের সঙ্গে এসে এমন লার্ভা তৈরি করবে যা ভাইরাস মুক্ত হবে।'
উল্লেখ্য, আইসিএমআর, ভিসিআরসি এমন মশা তৈরি করছে , যারা অ্যাডিস অ্যাপটিসের দুটি নতুন প্রজাতি তৈরি করবে। ভারতীয় গবেষকদের আশা এতেই দেশ থএকে ধীরে ধীরে দূর হটবে ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়ার মতো রোগ। মনে করা হচ্ছে, এই গোটা প্রজেক্টটি সময় সাপেক্ষ। কারণ এতে একাধিক সরকারি অনুমোদন প্রয়োজন। প্রতি সপ্তাহে এক একটি এলাকায় এমন মশা ছেড়ে দেওয়ার প্রকল্প খুব একটা সহজ কাজ নয় বলে মতামত বিশেষজ্ঞদের। ডক্টর অশ্বিনী কুমার বলছেন, 'চার বছর আগে এই গবেষণা শুরু হয়েছিল। আর এখন তা শেষ হয়েছে।'