বাস্তবের রিপ ভ্যান উইঙ্কিল। যদিও ২০ বছর ঘুমিয়ে কাটাননি এই কন্যা। ঘুমিয়েছিলেন ১০ বছর। এর পিছনে আছে নানা অলৌকিক তত্ত্বও।
1/8 ইংল্যান্ডের বাকিংহামশায়ারের কাছে ছোট্ট জনপদ টারভিল। সেই জনপদের মেয়ে এলেন স্যাডলার। বয়স ১১ বছর। এক রাতে ভাইবোনেদের সঙ্গে ঘুমোতে যায় এলেন। পরের দিন সকলের ঘুম ভাঙলেও তার ভাঙে না। অনেক চেষ্টা করেও তাকে আর ঘুম থেকে তোলা যায় না।
2/8 এর পর থেকে সেই অবস্থাতেই ঘুমিয়ে থাকে এলেন। তাঁর মা মুখের ভিতর খাবার ঢুকিয়ে দিতেন। সেই ভাবেই কিছু দিন খাওয়া চলত। পরে তার মুখও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু মজার কথা এর ১০ বছর পরে ঘুম ভাঙে। তত দিনে মারা গিয়েছেন তার মা। এলেনের বয়সও বেড়ে হয়ে গিয়েছে ২১ বছর।
3/8 এলেনের ঘটনা নিয়ে তদন্তও হয়। যদিও আজও এক রহস্য হয়েই রয়ে গিয়েছে এই ঘটনা। ঠিক কী কারণে এত বছর ঘুমিয়ে ছিল এলেন। এমনকী তাকে পিন ফুটিয়ে ফুটিয়েও নাকি জাগানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার ঘুম ভাঙেনি।
5/8 কেউ কেউ মনে করেন, পারিবারিক ষড়যন্ত্র কাজ করেছে এর পিছনে। এলেনের বাবা দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর তাঁর মা আবার বিয়ে করেন। সেই পরিবারে সৎ ভাইবোনেদের সঙ্গেই বাস করতেন এলেন। সেখানে এলেনের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হয়েছিল বলে মত অনেকের।
6/8 সেই বাড়িতেই তাকে মাদক দিয়ে দিনের পর দিন ঘুমি পাড়িয়ে রাখা হয় বলে মনে করেন অনেকে। মজার কথা, এলেনের মা মারা যাওয়ার কয়েক দিন পরেই তার ঘুম ভাঙে। এটিও মাদক সেবনের তত্ত্বটিকেই শক্তপোক্ত করে।
7/8 আবার অনেকে মনে করেন, গোটা ঘটনাটির সঙ্গে তুকতাক এবং কালোজাদুর সম্পর্ক ছিল। এই মতের বিশ্বাসীরাও বলেন, আসলে এলেনকে মাদক দেওয়া হয়েছিল। তবে কারও কারও মতে, পুরোটাই বানানো ঘটনা। তবে এর পিছনে সঠিক কারণ যে কী, তা আজও স্পষ্ট নয়।
8/8 সব মিলিয়ে আজও এলেন স্যাডলারের ঘটনাটি রহস্য থেকে গিয়েছে। তবে ১০ বছর বাদে অস্বাভাবিক ঘুমের জগত থেকে ফিরে আসার পরে এলেনের সঙ্গে আর কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি বলেই জানা যায়। বাকি জীবন তিনি স্বাভাবিকভাবেই কাটান।