একটু কাজ করলেই, কিংবা হাঁটতে বেরিয়ে কয়েক কদম হাঁটার পর, বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামার পরেই অনেকে ভীষণ রকম হাঁপিয়ে যান, আর চলার ক্ষমতা থাকে না। আপনি কি ভাবছেন ক্লান্তির জন্য এমনটা হচ্ছে? নাও হতে পারে কিন্তু! নেপথ্যে থাকতে পারে অন্য কারণ। হতেই পারে যে আপনি হয়তো শারীরিক ভাবে সুস্থ নন। ভিতরে অন্য কোনও রোগ বাসা বেঁধে আছে। ভাবছেন কোন রোগ? খারাপ কোলেস্টরল।
শরীরে খারাপ কোলেস্টরল জমা মানেই হার্টের উপর চাপ পড়া। আর হার্টের উপর যখনই চাপ পড়ে তখন এমন নানান লক্ষণ দেখা দেয়। হাই কোলেস্টরল থাকলে রক্তচাপ বেড়ে যায়, সঙ্গে বাড়ে ওজন বাড়ার সমস্যাও। খারাপ কোলেস্টরল আমাদের ধমনীর উপর ভীষণই খারাপ প্রভাব ফেলে। আর সেই কারণ ব্যাহত হয় শরীরের রক্ত চলাচল। আর সঠিক ভাবে রক্ত চলাচল না করলেও সেটার লক্ষণ দেখা যায়।
আপনার কোলেস্টরল যদি প্রচন্ড বেড়ে যায় আর আপনি তখন অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি করেন, সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করেন তাহলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেবে। এর মূল কারণ হচ্ছে শরীরে সঠিক ভাবে রক্ত চলাচল করতে পারে না। ধমনীর উপর চাপ পড়ে যায়। তাই শ্বাসকষ্ট হয়।
এছাড়াও খারাপ কোলেস্টরল যদি শরীরে অনেকটা বেড়ে যায় তাহলে সেটার কুপ্রভাব আমাদের যে নরম লিগামেন্ট আছে সেখানে পড়ে। এই কারণে প্রচণ্ড রকম হাতে, পায়ে ব্যথা শুরু হয়, কারণ তারা সেই চাপ নিতে পারে না। আর আমরাও এই ব্যথার কারণে কাজ করতে পারি না।
কোলেস্টরল এর পরিমাণ শরীরে বেশি থাকলে পায়ে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। অনেকক্ষণ এক ভাবে বসে থাকতে অস্বস্তি হয়। ব্যথা করে। অনেক সময় আবার হাত পা অসাড় হয়ে যায় বেশ কিছুক্ষণ জন্য। তাই আপনি যদি এমন কোনও লক্ষণ দেখে থাকেন শরীরে তাহলে সচেতন হন। এগুলো কিন্তু সবই খারাপ কোলেস্টরলের লক্ষণ।