ওমিক্রনকে মোটেই হাল্কা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। এমন কথা বারবার বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, ওমিক্রন সংক্রমণ শরীরে দীর্ঘমেয়াদি কোন কোন প্রভাব ফেলে, তা আমাদের জানা নেই।
কিন্তু ওমিক্রন যে ডেল্টার মতো মারাত্মক হয়ে ওঠেনি, তা সকলেই টের পেয়েছেন। তাহলে ওমিক্রন নিয়ে সাবধান হতে কেন বলছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, যেহেতু বিপুল সংখ্যক মানুষের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছিল, সেই কারণেই ওমিক্রন মারাত্মক আকার ধারণ করেনি। কিন্তু ওমিক্রনের পরবর্তী রূপগুলি যে সেই ধারা মেনে চলবে— এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। এমনই বলেছেন বিজ্ঞানীরা।
এবার অবশ্য এর চেয়েও বড় প্রশ্ন উঠে এসেছে। হালে জাপানের কয়েকট জন চিকিৎসক তাঁদের গবেষণায় দাবি করেছিলেন, ওমিক্রনের নতুন রূপ BA.2 মারাত্মক আকার নিতে পারে। কারণ ওমিক্রন BA.2-র সংক্রমণের হার যেমন বেশি, তেমনই বেশি টিকার রক্ষাকবচ ভেদ করার ক্ষমতা। সেই কারণেই জাপানের ওই বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন, ওমিক্রন BA.2-কে নিয়ে আলাদা করে সতর্কবার্তা প্রকাশ করতে হবে।
হালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ ভ্যান কেরখোভে এই বিষয়টির উপর নতুন করে আলোকপাত করেছেন। তাঁর মতে, WHO গোটা পরিস্থিতির উপর জোরদার নজর রাখছে। ওমিক্রন BA.2 কোন দিকে এগোচ্ছে এবং এটি কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠছে, সে বিষয়ে পুরোপুরি নজর আছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
তবে ওমিক্রন BA.2 যে করোনা বা ওমিক্রনের শেষ রূপটি নয়, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন WHO-এর এই বিশেষজ্ঞ। তিনি জানিয়েছেন ওমিক্রন BA.1, ওমিক্রন BA.2-র মতো আরও Sublineages উঠে আসতে পারে। সেগুলির সব ক’টির সংক্রমণের মাত্রা আলাদা আলাদা হতে পারে। এবং সেগুলি এক এক রকমভাবে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।
এই প্রসঙ্গে তিনি দু’টি Sublineages-এর কথা বলেছেন। ওমিক্রন BA.1.1 এবং ওমিক্রন BA.3। তাঁর কথায় ওমিক্রনের এই দু’টি রূপের উপরেও নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ এই দু’টি রূপও ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে।