ত্বক ও চুল ভালো রাখতে সবজির গুণাগুণ নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। তবে খাওয়ার পাশাপাশি, আলাদা করে এই সবজির রসও লাগাতে পারেন মাথায়। যাতে চুল পড়া তো কমবেই, সঙ্গে নতুন চুলও গজাবে।
1/7 শীতে ঠান্ডা লাগার ভয়ে আমরা অনেকেই ঠিক করে শ্যাম্পু করি না। যার ফলে মাথায় বাসা বাঁধে খুশকি। এমনকী, চুলের গোড়ায় নোংরা জমে থাকার কারণেও বেড়ে যায় চুল পড়ার সমস্যা। তবে এবার ঠান্ডা কমতেই চুলের একটু স্পেশাল কেয়ার নেওয়া শুরু করুন। বাড়িতে থাকা কিছু সবজির রসই হতে পারবে আপনার প্রিয় বন্ধু এক্ষেত্রে। জেনে নিন কোন সেই সবজি ও সেগুলি ব্যবহারের নিয়মই বা কী!
3/7 আলু গ্রেট করে নিন। এবার তা হাত দিয়ে চেপে রস বের করে নিন। মোটামুটি হাফ কাপ মতো রস হলেই হবে। আলু থেকে রস বের করে সঙ্গেসঙ্গে মাথায় মেখে নিলে সবচেয়ে ভালো। চুল সরিয়ে সরিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। এবার হালকা হাতে ম্যাসাজ করে অপেক্ষা করুন মিনিট পনেরো। তারপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে অন্তত একবার করে মাথায় আলুর রস মাখুন।
4/7 গাজরের রসে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই, ক্যারোটিনয়েডস, বিটা ক্যারোটিন চুলে খুব ভালো উপকার করে। আপনার মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। গাজর আপনার চুল পড়া কমায় এবং চুল সার্বিকভাবে সুস্থ রাখে।
5/7 গাজরে থাকা বিটা ক্যারোটিন আপনার চুলকে নরম এবং চকচকে রাখতে সহায়তা করবে। খাবারের তালিকায় গাজর তো রাখবেনই, সঙ্গে এই রস মাখতে পারেন চুলেও। গ্রেট করা গাজর আর দই মিশিয়ে নিন। তারপর সেটি চুলে দিন। মিনিট তিরিশ পর চুল ভালো করে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নেবেন।
6/7 শীতকালে গরম জল দিয়ে স্নান করার ফলে, চুল শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। বিটরুটে উপস্থিত ভিটামিন ই চুলকে প্রাকৃতিকভাবে নরম করে। চুলে ম্যালাসেজিয়া নামক ছত্রাকও দূর করে বিটের রস। যার ফলে খুসকি হয় না। বীট হল বেটালাইনের প্রাকৃতিক উৎস। যা চুলে সুন্দর লালচে রং আনে। কেউ যদি বাজারচলতি রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করতে না চান, চোখ বন্ধ করে ব্যবহার করতে পারেন বিটের রস।