অনেকেই আছেন যারা কাজের চাপে রোজ সকালে ব্রেকফাস্ট তৈরি করার সময় পান না। হয় স্কিপ করে দেন। আর নাহলে হাতের সামনে যা থাকে তা খেয়ে নেন বা আগের দিনের বেঁচে যাওয়া খাবার খান গরম করে। তবে মনে রাখবেন দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিল হল ব্রেকফাস্ট। আর সেটাই যদি ঠিক না হয় তবে ওজন তো বাড়বেই, সঙ্গে শরীরে একাধিক রোগ এসে বাসা বাঁধবে। সঠিক প্রাতরাশ আপনাকে সাহায্য করে সারাদিনের কাজ কর্ম করার। মনে রাখবেন ব্রেকফাস্টে থাকতে হবে প্রোটিন-ফাইবার-ফ্যাট-কার্বসের পারফেক্ট কম্বো। আর এই কাজে আপনাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে ওটস।
আরও পড়ুন: সকালে উঠে কফির কাপে মেশাতে হবে লেবু, ওজন কমবে হু হু করে! তবে একটা নিয়ম আছে
ওটসের উপকারিতা:
ওটসে প্রচুর ফাইবার এবং অ্যাভিন্যানথ্রামাইড থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারি। প্রচুর পরিমাণে আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন-বি সহ আরো অনেক পুষ্টি পাবেন আপনি ওটসে। পাবেন ভিটামিন-বিও। এছাড়া থাকেন বেটা গ্লুকোন। যা শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ওটসের বেটা-গ্লুকোন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ওটসে থাকা ফাইবার দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। ফলে চট করে খিদে পায় না।
আরও পড়ুন: ৩ এমন জিনিস যা ভুলেও কিনবেন না শনিবারে, নয়তো আসবে বাধা-বিঘ্ন-অমঙ্গল
ওটসের স্মুদির রেসিপি:
ওটস শুকনো কড়াইতে ভেজে রেখে দিন। একটা মুখ বন্ধ পাত্রে রাখলে দিন পনেরো তা ব্যবহার করতে পারবেন।
কলা-চটোলেট স্মুদি: ১/৪ কাপ ভেজে রাখা ওটস, ১টি কলা, বীজ বের করা খেজুর ২টো, ১ চা চামচ চকোলেটের গুঁড়ো আর ১ কাপ জল দিন ব্লেন্ডারে। এবার তা ব্লেন্ড করে নিন। ওপরে ড্রাই ফ্রুটস ছড়িয়ে খেয়ে নিন।
আপেল-নাট স্মুদি: ১/৪ কাপ ভেজে রাখা ওটস, ১টি আপেল টুকরো টুকরো করে কাটা, বীজ বের করা খেজুর ২টো, ১ চামচ আনসুইটেনড পিনাট বাটার (না থাকলে ভাজা বাদাম ১০-১২টা) আর ১ কাপ ওটস দিন ব্লেন্ডারে।
ওটস পেঁপের স্মুদি: ১/৪ কাপ ভেজে রাখা ওটস, ১ কাপ পাকা পেঁপে, ১ কাপ ফ্যাট ফ্রি দুধ, বীজ বের করা খেজুর ২টো দিন ব্লেন্ডারে। এবার সমস্ত কিছু ব্লেন্ড করে নিন ঝটপট।