ইট-কাঠ-পাথরের দুনিয়ায় এখন জায়গার বড়ই অভাব। বিশেষ করে যারা ফ্ল্যাটে থাকেন তাঁদের কাছে ঘরের সঙ্গের ব্যালকনিটাই ভরসা। সকাল বা সন্ধে কফির মগ হাতে কিছুটা সময় ব্যালকনিতে কাটানোর অভ্যেস থাকলে আজ থেকে আরও একটা কাজ শুরু করতে পারেন। ব্যালকনিতে টবেই লাগিয়ে নিতে পারেন কিছু গাছ। মরশুমি ফুল থেকে টুকটাক সবজি— যত্ন নিলেই দেখবেন কেমন তরতর করে বেড়ে উঠছে।
গোলাপ, বেলি, গাঁদা, হাসনুহানার মতো গাছগুলো খুব সহযেই টবে লাগাতে পারেন। শুধু বারান্দার এমন জায়গায় রাখবেন যাতে তা দিনে অন্তত ২ ঘণ্টা রোদ পায়। সকালে আর বিকেলে নিয়ম করে জল দিলেই দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে আপনার বারান্দা কেমন রঙে ভরে উঠেছে।
পাতাবাহার গাছও বারান্দার জন্য আদর্শ। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার, ফুল গাছের মতো এই গাছের পিছনে খুব বেশি সময় ব্যয় করতে হয় না। লাগিয়ে নিতে পারেন ক্যাকটাস বা সাকুলেন্ট জাতীয় গাছও।
রূপচর্চা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যরক্ষা— অ্যালোভেরা গাছের উপকারিতা আকাশছোঁয়া। তাই বারান্দায় অবশ্যই রাখুন একটি অ্যালোভেরা গাছ।
ধনেপাতা আর পুদিনাপাতার মতো গাছও বারান্দায় খুব ভালো হয়। বাজার থেকে চারা কিনে লাগিয়ে নিলে দেখবেন পুরনো গাছ থেকই আবার নতুন চারা জন্মাচ্ছে। আর গোটা ধনে ঘ্ণ্টাচারেক জলে ভিজিয়ে রেখে মাটিতে ছড়িয়ে দিলেও তার থেকে নতুন চারা গজায়।
করলা, টমেটো, পুঁইশাক কাঁচালঙ্কার মতো রোজের সবজিও চাষ করতে পারেন বাড়িতে। এগুলোর বীজ থেকেই আবার নতুন চারা গাছ তৈরি করতে পারবেন।
তবে একেকটি গাছের জন্য এক-এক ধরনের যত্নের প্রয়োজন। যেমন পতাবাহার গাছে দিনে একবার জল দিলেই চলে। আবার ক্যাকটাসের ক্ষেত্রে সপ্তাহে একবার জল দিতে হয়। ফুল গাছের টবে দিনে অন্তত দু’বার জল দেওয়া প্রয়োজন। ফল ও সবজির গাছে নিয়ম করে সারের ব্যবহারও গুরুত্বপূর্ণ। তাই গাছ কেনার আগে সেগুলোর পরিচর্চা সম্পর্কেও জেনে রাখুন।