আট থেকে আশি সবারই পছন্দ ডিম। ডিম বেশিক্ষণ ধরে পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে থাকা পুষ্টিগুণ সব বয়সের মানুষের জন্যই সমান উপযোগী। বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রতিদিন সকালের জলখাবারে ডিম খাওয়া উচিত। এতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পাশাপাশি ডিম বিভিন্ন শারীরিক রোগ নিয়ন্ত্রণেও মুখ্য ভূমিকা নিয়ে থাকে।
নিয়মিত ডিম খেলে চোখে ছানি পড়ার আশঙ্কা কমে যায়। এছাড়া, ভিটামিন ডি-এর অন্যতম প্রধান উৎস ডিম। ডিমের মধ্যে থাকা সালফার এই ভিটামিন তৈরিতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ডিম চুলে পুষ্টি জোগায়। একইসঙ্গে নখ ভালো রাখতেও সাহায্য করে।
অনেকে ডিম কেনার সময় কিছু বিষয় নজরে রাখেন। যেমন ডিমের কুসুমের রঙ। কিছু ডিমের কুসুম হলুদ রঙের হয়, আবার, কিছু ডিমের কুসুম কমলা রঙের হয়ে থাকে। কোন রঙের কুসুমের স্বাস্থ্যগুণ বেশি তা নিয়ে অনেকেই ধন্দে থাকেন। এই নিয়ে অনেককে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতেও দেখা যায়।
অনেকেই মনে করেন. গাঢ় রঙের কুসুমের পুষ্টিগুণ বেশি। ফলে বাজারে গিয়েও তেমন ডিমই কেনেন। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে কুসুমের রঙ নির্ভর করে মুরগি কী ধরনের খাবার খাচ্ছে তার উপর। কুসুমের রঙ গাঢ় হওয়ার কারণ হল এতে ক্যারোটিনয়েডের উপস্থিতি। এই বিশেষ রঞ্জক পদার্থটি ডিমের রঙ কমলা হতে সাহায্য করে।
দেখা গিয়েছে, মুরগি যত খোলা জায়গায় ঘোরে, ততই এর কুসুমের রঙ কমলা বা গাঢ় হয়।খোলা জায়গায় ঘোরার কারণে মুরগি নিজের খাবার নিজেই সংগ্রহ করে। এই প্রাকৃতিক খাবারগুলোই ক্যারোটিনয়েডের উৎস হিসেবে কাজ করে। মূলত খামারে পালিত মুরগিদের কিছু নির্দিষ্ট খাবার দেওয়া হয়। এর ফলে প্রাকৃতিক উৎস থেকে ক্যারোটিনয়েডও মুরগি পায় না।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, খামারের মুরগিদের ডিমেও গাঢ় কুসুম পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে মুরগিদের বিশেষ ধরনের খাবার খাওয়ানো দরকার। মুরগির রোজকার ডায়েটে কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টি উপাদান থাকলেই কুসুমের রঙ হবে গাঢ়। অনেক খামারের মালিক কুসুমের রঙ গাঢ় করতে লাল ক্যাপসিকাম খাওয়ান। তবে এতে পুষ্টিগুণের বিশেষ তফাত হয় না।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, প্রাকৃতিকভাবে যেসব মুরগি খাবার খুঁজে খায়, তাদের ডিমে কিছু পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে। এই ধরনের মুরগির ডিমে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়া রঙ গাঢ় হওয়ায় ক্যারোটিনয়েডের পরিমাণও বেশি হয়।