হাতে আর মাত্র ১০০ দিন। তার পরেই শুরু হয়ে যাবে পুজো। ২০২২ সালে দুর্গাপুজো। তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক জায়গাতেই। কেন জানেন?
এবারের পুজো অন্যান্য বারের চেয়ে একেবারে আলাদা। এবারের পুজোর গুরুত্বও অনেক বেশি। এর পিছনে রয়েছে দু’টি কারণ। প্রথমত, করোনার কারণে গত দু’বছরে একেবারে মনখুলে পুজোর আয়োজন করা যায়নি। মানুষ আনন্দে মেতেছেন ঠিকই, কিন্তু তার পরেও ভয় ছিল করোনা সংক্রমণের। এবারেও করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। কিন্তু বেশির ভাগেরই টিকার দু’টি ডোজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়াও সংক্রমণের ভয় কিছুটা কমেছে। (আরও পড়ুন: দক্ষিণ কলকাতার পুজোর থিমে ‘ফিরছেন’ লতা-সন্ধ্যা-বাপি, দুর্গাপুজো ভাসবে আবেগে)
দ্বিতীয়ত, এবার কলকাতার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। ফলে এবারে পুজো নিয়ে উদ্যোক্তা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা সপ্তমে। এবার শুধু দেশের নয়, বিদেশের প্রচুর পর্যটকও এই উৎসবে অংশ নিতে পারেন— এমনই আশা করছেন অনেকেই। (আরও পড়ুন: নজরুল মঞ্চের আদলে মণ্ডপ, কেকে থিমে এবার দুর্গাপুজো দক্ষিণ কলকাতায়)
আর এই দুই কারণেই ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন পুজোর প্রস্তুতি। কী অবস্থায় আছে কলকাতার বিভিন্ন পুজো? দেখে নেওয়া যাক।
- নাকতলা উদয়ণ সঙ্ঘ: শিল্পী প্রদীপ দাসের তত্ত্বাবধানে সেজে উঠছে এই পুজো। এমনই জানা গিয়েছে।
- দমদম তরুণ দল: এটির দায়িত্বেও প্রদীপ দাস। থিম ভাবনা হয়ে গিয়েছে। শোনা গিয়েছে, কাজও শুরু হওযার পথে।
- হাতিবাগান সর্বজনীন: শিল্পী সনাতন দিন্দা এবার এই পুজোর সজ্জার দায়িত্বে। কাজ শুরু হয়েছে এখানে।
- বকুলবাগান: এই পুজোর সজ্জার দায়িত্বেও সনাতন দিন্দা। কাজ শুরু হয়েছে এখানেও।
- কুমোরটুলি সর্বজনীন: শিল্পী বিশ্বনাথ দে এই পুজোর দায়িত্বে। তিনি শুরু করেছেন কাজ।
- গড়িয়াহাট হিন্দুস্থান ক্লাব: অনির্বাণ দাস সাজিয়ে তুলছেন এই পুজো।
- টালা বারোয়ারি: এবার ১০২ বছরে পৌঁছোচ্ছে এই পুজো। শিল্পী সঞ্জীব সাহা এবারের পুজোর সজ্জার দায়িত্বে।
এছাড়াও কলকাতার অন্যান্য বড় পুজোও নিজেদের মতো করে সাজাতে শুরু করেছে পুজোর থিম। বেশির ভাগ বড় পুজোই ঠিক করে ফেলেছে, এবার তাঁদের পুজোর দায়িত্বে কোন শিল্পী থাকবেন। সব মিলিয়ে এবার যে এক বিরাট জাঁকজমকপূর্ণ পুজোর সাক্ষী হতে চলেছে কলকাতা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।