করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে 'দো গজ দূরি' (দু'গজের দূরত্ব) জরুরি। কিন্তু মানুষের সঙ্গে বিজেপির সেই দূরত্ব থাকতে পারে না। ভার্চুয়াল র্যালির মাধ্যমে সোমবার একথা বললেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা অমিত শাহ।
'ওড়িশা জনসংবাদ র্যালি'-তে দেশের সব বিজেপি কর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ‘কোটি কোটি বিজেপি কর্মী ১১ কোটিরও বেশি মানুষকে একবারের খাবার দিয়েছেন। আমি বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং সব কর্মীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। একটা দলের কর্মীরা এই সংকটের সময়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করছেন দেখে আমি গর্বিত। এটার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দলের সভাপতি, তাঁর টিম এবং সব দলীয় কর্মীকে অভিনন্দন জানাতে চাই।’
পাশাপাশি, ওড়িশায় দলের শক্তি বৃদ্ধির জন্য এবং মূল বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসার জন্য দলের কর্মীদের প্রশংসা করেন শাহ। প্রশংসার ফাঁকেই তিনি বলেন, ‘বিজেপি এবং মানুষের মধ্যে দো গজ দূরি হতে পারে না।’
সেই সময়টুকু বাদে বাকি বক্তৃতার পুরোটাই কার্যত কংগ্রেসের শাসনকালের তুলনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমলে কী ‘ভালো’ কাজ হয়েছে, তা তুলে ধরেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি। মূলত জাতীয় ইস্যুগুলিই তাঁর বক্তৃতায় ঠাঁই পায়। স্থানীয়ভাবে পরিযায়ী শ্রমিক প্রসঙ্গে অবশ্য শাহ জানান, ওড়িশাবাসীকে যেন নিজের রাজ্য ছেড়ে ভিনরাজ্যে কাজের খোঁজে যেতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে চায় বিজেপি। পাশাপাশি বিজেপির আমলে ওড়িশা কত কেন্দ্রীয় সাহায্য পেয়েছে, তারও লম্বা তালিকা তুলে ধরেন তিনি।
তবে ভার্চুয়াল র্যালিতে রাজ্যের শাসক দল বিজু জনতা দলের (বিজেডি) বিরুদ্ধে সরাসরি একেবারেই সুর চড়াননি শাহ। বরং দাবি করেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের ২,০০০ টাকা করে দিচ্ছে ওড়িশা সরকার। নবীন পট্টনায়কের সরকারের জন্য গুটিকয়েক বাক্য খরচ করেন শাহ। শেষলগ্নে অবশ্য শাহ জানান, তাঁর সময়ে ওড়িশায় ক্ষমতায় আসেনি বিজেপি। তবে নাড্ডার সভাপতিত্বে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হবে বলে আশাবাদী তিনি।