জোর করে তাদের নিয়ে আসা হয়েছিল। তারপর যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করানো হল। এমনকী মাদক পাচারের কাজও তাদের দিয়ে করানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এই বিষয়টি সামনে আসে যখন ২০ জনকে ধরতে পারে পুলিশ।
প্রায় ৫০০ জন যুবতীকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে নিয়ে এসে এই কাজ করানো হচ্ছিল। সক্রিয় নারী পাচার চক্র এবং মাদক পাচার চক্রের মাধ্যমে তাদের গুজরাত ও মুম্বইয়ে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের এই কাজ করানো হচ্ছিল।
এই ঘটনা নিয়ে ইন্দোর পুলিশের ডিআইজি এইচএন মিশ্র জানান, ‘এই ২০ জনের বিরুদ্ধে নারী পাচার ও মাদক পাচার বিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন এজেন্ট রয়েছে। এরা ইন্দো–বাংলাদেশ সীমান্তে এই নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছে। বেআইনি পথে তারা ওপার থেকে মেয়ে নিয়ে এসে এপারে বিক্রি করে দিত। এরা খোঁজ রাখত গরীব পরিবারের মেয়েদের উপর। খোঁজ পেয়ে তাদের কাজের টোপ দিয়ে এপারে নিয়ে আসা হতো। তারপর জোর করে তাদের দিয়ে পতিতাবৃত্তি ও মাদক পাচার করানো হতো।’
মুম্বই ও সুরাটের দুই পাচারকারী সাগর জৈন এবং ধর্মেন্দ্র জৈন তাদেরকে এই কাজে লিপ্ত করত। এছাড়া আরুজ সৈয়দ ও টিটু গাজি বাঙালি দু’জন এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। এদের প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখানে বাবু ভাই বলে একজনের নাম উঠে আসছে। যে এই কাজের মূল পাণ্ডা। বহু মেয়ের মুখ থেকে এই নাম শোনা গিয়েছে। এই নিয়ে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে।
সিটের এক সদস্য বিজয় নগর থানার ইনচার্জ তাজিব কাজি বলেন, ‘গত ২১ সেপ্টেম্বর দু’জন যুবতী মুম্বইয়ের বিজয় নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের মডেলিংয়ের টোপ দিয়ে একটি ফ্ল্যাটে আটকে রেখে জোর করে পতিতাবৃত্তি করানো হয়। তাঁরা কোনওরকমে পালাতে সক্ষম হয়েছিলেন বলেই গোটা ঘটনা সামনে আসে। এখনও সেখানে ৬জন মেয়েকে আটকে রাখা হয়েছে।’
এই বাবু ভাই প্রত্যেক মেয়ের পরিবারকে ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত দিত বলে সূত্রের খবর।