অবিনাশ কুমার
রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিহারে নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে। বিহারের নালন্দা জেলায় ও রোহতাস জেলার সাসারাম শহরে এই হিংসার ঘটনা হয়েছে। অন্তত ১০ জন জখম হয়েছেন এই ঘটনায়। শনিবার সন্ধ্যায় দুজন পুলিশও জখম হয়েছেন হিংসার ঘটনায়। পটনা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে এক নাবালকের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে থমথমে হয়ে রয়েছে এলাকা।
নালন্দা থেকে পাওয়া খবর অনুসারে জানা গিয়েছে রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে আগেই হিংসার ঘটনা হয়েছিল। তারপরের দিন লাহেরি থানা এলাকায় বহু মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। তারা প্রকাশ্য রাস্তায় নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে। এর জেরে চারজন জখম হয়েছে।
সূত্রের খবর, মূলত দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। দুই সম্প্রদায়ের লোকজনই একে অপরকে নিশানা করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। গুলিও ছুঁড়তে শুরু করে। এই ঘটনায় ১৬ বছর বয়সী গুলসান কুমার ও প্রফেসর শাকিল আহমেদ গুরুতর জখম হয়েছেন।
সাসারামে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৬জন জখম হয়েছেন। টাউন পুলিশ স্টেশন এলাকায় শহজমা এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ হয়। এর জেরে চারজন জখম হয়েছেন। তাদের বারানসীর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে একটি ঘরের মধ্যে এই বিস্ফোরণ হয়েছিল। এলাকা থেকে একটি স্কুটি উদ্ধার করা হয়েছে। ফরেনসিক টিম এলাকায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ৬জন বোম নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় আচমকা তাতে বিস্ফোরণ হয়। একটি বেসরকারি বিল্ডিংয়ে এই ঘটনা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা শাসক এলাকায় চলে যান। একেবারে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি শুরু হয়ে যায়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ আটজনকে গ্রেফতার করে। অতিরিক্ত পুলিশ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ এলাকায় টহলদারি শুরু করেছে। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশ এলাকায় ফ্ল্যাগ মার্চ শুরু করেছে।
শাহবাদ রেঞ্জের ডিআইজি নবীন চন্দ্র ঝাঁ হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ফরেনসিক টিম এলাকা থেকে বিস্ফোরকের নমুনা সংগ্রহ করেছে। বোম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াডও এলাকায় গিয়েছে।
এডিজি হেড কোয়ার্টার জিতেন্দ্র সিং গাঙ্গোয়ার জানিয়েছেন, এলাকায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে মুঙ্গেরে দুই গোষ্ঠীর মধ্য়ে সংঘর্ষ চরম আকার নেয়। পুলিশের গাড়িতেও চলে ভাঙচুর।