অমৃত ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর আশ্বাস ভারত আগামী বছরগুলিতে অন্তত ১০০০ নিউ জেনারেশন অমৃত ভারত ট্রেন তৈরি করবে। ২৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ছুটতে পারে এমন ট্রেন তৈরি করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া একটা একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বন্দে ভারত ট্রেন বিদেশে রফতানি করার ব্য়াপারেও কাজ চলছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্য়ে প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন বিদেশে রফতানি করা হবে।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, বিশ্বের সবথেকে উঁচু রেলব্রিজ চেনাব ব্রিজ ও নদীর নীচে দিয়ে ট্রেন চলার ব্যবস্থা ( কলকাতা মেট্রো) সেটা এই মোদী সরকারের আমলেই তৈরি হয়েছে। এটাই হল মোদী জমানায় রেলওয়ে ক্ষেত্রে একের পর এক অগ্রগতি।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ভারতে প্রথম সমুদ্রের নীচে দিয়ে টানেল তৈরি হচ্ছে। মুম্বই ও থানের মধ্যে এই টানেল। বুলেট ট্রেন প্রকল্পের আওতায় হবে এই সমুদ্রের নীচে টানেল। বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে এই ধরনের প্রযুক্তি রয়েছে। মুম্বই থেকে থানে পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২১ কিমি প্রস্তাবিত টানেল। তার মধ্য়ে ৯.৭ কিমি টানেল সমুদ্রের তলা দিয়ে যাবে।
তিনি জানিয়েছেন, প্রতি যাত্রী পিছু আমরা ৫৫ শতাংশ করে ছাড় দিয়ে থাকি। একজন যাত্রী পরিবহণ করতে যদি ১০০ টাকা করে খরচ হয় তবে আমরা তার জন্য ৪৫ টাকা ধার্য্য করি। আর বন্দে ভারতের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে ১০০০ কিমি সফর করার জন্য ৪৫৪ টাকা লাগে। আগামী দিনে যাতে ট্রেনের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ২৫০ কিমি হতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে। সেব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তবে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ট্রেন উন্নত হোক এটা সকলেই চান। ট্রেনের গতিবেগও বাড়ুক। সেই সঙ্গে বাড়ুক যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য। তবে শেষ পর্যন্ত ট্রেনে যাত্রী সুরক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া হোক। না হলে বড় বিপদ হয়ে যেতে পারে। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে যেভাবে বহু যাত্রীর প্রাণহানি হয়েছিল এটাও দেখা দরকার। কারণ যাত্রী সুরক্ষা সবার আগে। সেই যাত্রী সুরক্ষার সঙ্গে কোনওভাবেই আপোস করা যায় না। সেই সঙ্গেই ট্রেন যাতে সঠিক সময়ে যাতায়াত করতে পারে সেটা নিশ্চিত করা হোক।