কাশ্মীরে ঝিলাম নদীর পাড়ে খনন করে মিলল ১২০০ বছর পুরোনো কষ্টিপাথরের মূর্তি। প্রায় একমাস আগে এই মূর্তিটি যখন মিলেছিল, তখন এটির বিষয়ে খুব একটা কিছু আন্দাজ করতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। পরীক্ষার পর বিশেষজ্ঞরা দাবি করলে, এই মূর্তি ১২০০ বছর পুরোনো। স্থানীয় কাশ্মীরিদের হাতে তৈরি হলেও এই মূর্তিতে রয়েছে গন্ধর্ব শিল্পকলার আঁচ। প্রায় ৮ ইঞ্চি লম্বা এবং ৬ ইঞ্চি চওড়া এই দুর্গা ঠাকুর বসে আছে সিংহের উপর। এর আগে কাশ্মীরের অন্তনাগেও এরক মূর্তি মিলেছিল।
শ্রীনগরের পণ্ড্রেথান এলাকায় ঝিলাম নদীর তীর থেকে এই মূর্তিটি উদ্ধআর করা হয়েছিল গত ১৩ অগস্ট। বালি খননের সময় মূর্তিটি উঠে আসে। যদিও তখন তা খেয়ার করেনি কেউ। ট্রাকে করে সেই বালি পাঠানো হয়েছিল বুদগামে। সেখানে এক স্থানীয় ব্যক্তির নজরে মূর্তিটি আসে। তখন সে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এরপর মূর্তিটি নিয়ে যাওয়া হয় বিশেষজ্ঞদের কাছে। তারপর জাদুঘরে রেখে তা পরীক্ষা করা হয়। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের হাতে এই মূর্তিটি তুলে দেওয়া হয়।
কাশ্মীরের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ডেপুটি ইন-চার্জ মুশতাক আহমেদ বেগ এই মূর্তিটি প্রসঙ্গে বলেন, 'এটি ১০০ শতাংশ স্থানীয় শিল্পীদের হাতে তৈরি। এতে গন্ধর্ব শিল্পকলার আঁচ রয়েছে। আমাদের এখানে অনেক ধরনের স্থানের শিল্পকলার নিদর্শন রয়েছে। কাশ্মীর, জম্মু, মথুরা, গন্ধর্ব, বাসোহলি ইত্যাদি। আমাদের কাজ অন্যদের থেকে আলাদা। আমাদের কাজ অন্যদের থেকে বেশি সূক্ষ্ম।' প্রসঙ্গত, গন্ধর্ব শিল্পকলা হল বুদ্ধধর্মীয়দের আনা একটি শিল্পকলার ধাঁচ। বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ব আফগানিস্তানে এর বিস্তার ঘটেছিল প্রথম থেকে সপ্তম শতাব্দী খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত।