ছুটির দিনগুলোতে বিস্তৃত সমুদ্র জলরাশিতে একটু গা ভাসাতে কার না ভালো লাগে? তবে সমুদ্রে নামলেই আক্রমণ করছে মাছেদের দল! কামড়িয়ে রক্তাক্ত করছে শরীর! সম্প্রতি এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এসেছে। স্পেনের শহর বেনিডর্মের সমুদ্র সৈকতে মাছেদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে পর্যটকেরা। ওব্লাডা মেলানুরা যা স্যাডেড সিব্রিম নামেও পরিচিত, এক ধরনের ছোট ধূসর মাছেদের কামড়ের ফলে আক্রান্তদের ত্বক ক্ষতবিক্ষত হয়েছ। পনিয়ান্তে সমুদ্র সৈকতে সম্প্রতি এক দিনে প্রায় ১৫ জনকে মাছের আক্রমণের ফলে প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হয়েছে। ইতিমধ্যে বেনিডর্মের সৈকতে ছুটি কাটাতে আসা পর্যাটকদের এই ‘পিরানহা-স্টাইলের’ মাছেদের সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে।
একটি স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম Informacion.es অনুসারে, সাম্প্রতিক দিনগুলিতে বেনিডর্মের পনিয়ান্তে সৈকতে বেশ কয়েকটি এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে মাছেদের বিপাকের হার বৃদ্ধি পায়, ফলে তাদের খিদের মাত্রও বেড়ে যায়। ইউনিভার্সিটি অফ অ্যালিক্যান্টের ক্লাইমাটোলজি ল্যাবরেটরি অনুসারে, সমুদ্রের তাপমাত্রা বর্তমানে ২৯ থেকে ৩০ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে, এই কারণেই মাছেরা সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি চলে আসছে।
এই মাছগুলি সমুদ্রে স্নানরত মানুষদের ত্বকে আঁচিল, ছোট ক্ষত দ্বারা আকৃষ্ট হয় এবং শিকারের হাতে, পায়ে এবং পিঠে দাঁতের কামড় দিয়ে রক্তাক্ত করে। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিরা এদের সহজ শিকার হচ্ছেন। তবে, এদের আক্রমণে জীবনহানির কোনও আশঙ্কা নেই। আক্রান্তরা প্রাথমিক চিকিৎসার ফলে সুস্থ হয়ে উঠছে। এই ধরণের ঘটনা প্রথম সামনে এসেছিল ২০১৭ সালের অগস্টে। স্পেনের সামুদ্রিক প্রজাতি বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এই মাছের প্রজাতি একসাথে বড় দলে সমুদে বিচরণ করে এবং তারা মানুষের কাছ থেকে পালিয়ে যায় না। পর্যটক এবং সাঁতারুদের চকচকে গহনা পড়ে সমুদ্রে না নামার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। স্যাডল সিব্রিম, পমফ্রেট, গলফার ফিশ বা ব্লুফিশের মতো প্রজাতির মাছেদের এই ধরণের চকচকে জিনিস আকৃষ্ট করে।