পুলিশ বা যেকোনও ফোর্সে চাকরি করতে গেলে ওজন বেড়ে গেলে মহা সমস্যা হয়ে যায়। পুলিশের চাকরির ক্ষেত্রে একটা বড় শর্ত হল শারীরিক গঠন ঠিকঠাক রাখা। কারণ বিরাট ওজন থাকলে, স্থূলকায় হলে পুলিশের চাকরি করাটা মহা সমস্যার। তবে অসম পুলিশ গোটা বিষয়টি একেবারেই হালকা ভাবে নিচ্ছে না। যাদের বিরাট ভুঁড়ি হয়ে গিয়েছে, ভালো করে ছোটাছুটি করতে পারেন না তাদের কপালে এবার বড় বিপদ। মূলত বডি মাস ইনডেক্স ঠিক রাখতেই হবে। গোটা অসম জুড়ে এই বিশেষ পরীক্ষায় বসতে হল হাজার হাজার পুলিশকে।
ইতিমধ্য়েই পুলিশ কর্মীদের শারীরিক পরীক্ষা করার কাজ হয়েছে। কিন্তু প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী এই পরীক্ষায় ফেল করেছে বলে খবর। তার জেরে বিরুদ্ধে এবার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, অসম পুলিশকে আরও দক্ষ করে তোলার জন্য বিশেষ উদ্যোগ। সবার আগে তাদের শারীরিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হয়। সেই পরীক্ষায় একেবারে ডিজি থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সকলকে বসতে হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপারদেরও সেই পরীক্ষায় বসতে হয়েছিল। এরপরই দেড় হাজারের বেশি পুলিশকর্মী এই পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। এবার তাদের জন্য বড় দাওয়াই। আপাতত তিন মাস সময় দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্য়ে ভুঁড়ি কমাতে না পারলে তাদের ফের ট্রেনিংয়ে যেতে হবে। তবে কোনও শারীরিক সমস্য়ার জন্য তারা মোটা হয়ে গেলে অবশ্য় ছাড় দেওয়া হচ্ছে। আর অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা নিজে এই পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছেন।
সূত্রের খবর, অসম পুলিশে বর্তমানে ৭০ হাজার ১৬১ জন রয়েছেন। তাঁদের মধ্য়ে ১৭৪৮জন এই শারীরিক পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি। মূলত তাদের মধ্য়ে সিংহভাগকেই স্থূলকায় বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। প্রথমদিকে তিন মাস তাদের মেডিক্যাল তত্ত্ববধানে রাখা হবে। তিন মাসের মধ্য়ে তাদের পুলিশের চাকরির মতো করে শারীরিক পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। তারপর তাদের ফের পুলিশের চাকরিতে যোগ দিতে হবে। আর তারপরেও ভুঁড়ি কমাতে না পারলে কপালে বড় দুঃখ আছে।