টিকার দু'টি ডোজ নেওয়া হলে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায় ৯৫ শতাংশ। জানালেন নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভিকে পাল। শুক্রবার নীতি আয়োগের সদস্য জানান, কোভ্যাক্সিন বা কোভিশিল্ড, যেকোনও টিকার দুটি ডোজ প্রাণহানী রুখতে খুবই কার্যকর। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন আইসিএমআর-এর এক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে এই দাবি করেন ভিকে পাল। প্রসঙ্গত, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টর জেরে এসেছিল। সরাসরি ডেল্টার উপর টিকার কার্যকারিতা এখনও প্রমাণ না হলেও এই সমীক্ষা অনেকটাই স্পষ্ট করে দিল যে ডেল্টা স্ট্রেনের উপর কোভিশিল্ড এংব কোভ্যাক্সিন কার্যকর।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন তামিলনাড়ু পুলিশের উপর একটি সমীক্ষা চালায় আইসিএমআর। ১,১৭,৫২৪ জন নিরাপত্তারক্ষী কাজ করছিল তামিলনাড়ু পুলিশের দফতরে। এবছরের ১ ফেব্রুয়ারি আর ১৪ মে ৩২,৭৯২ জন একটি ডোজ নেন। ৬৭,৬৭৩ জন দুটি ডোজ নেন, কিন্তু ১৭,০৫৯ জন কর্মী কোনও ডোজ নেননি। ১৩ এপ্রিল আর ১৪ মে-র মধ্যে ৩১ জন নিরাপত্তারক্ষী মারা যান করোনা সংক্রমণে।
আইসিএমআর জানাচ্ছে, মৃত ৩১ জনের মধ্যে ৪ জন ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ নিয়েছিলেন, ৭ জন একটি ডোজ আর ২০ জন ভ্যাকসিন নেননি। ভ্যাকসিন না নেওয়া ব্যক্তিদের থেকে তুলনায় ১টি আর ২টি ডোজ নেওয়া ব্যক্তির ক্ষেত্রে কোভিড-১৯-এ মৃত্যুর ঝুঁকি যথাক্রমে ০.১৮ ও ০.০৫।
টিকার ১টি ডোজ ও ২টি ডোজ নিলে কোভিড-১৯-এ মৃত্যু রোধের সম্ভাবনা যথাক্রমে ৮২% ও ৯৫%। এদিকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রকাশিত ফলাফল বলছে হাসপাতালে যাওয়া আটকাতে ৯৭.৫% কার্যকরী। অপরদিকে ভারত বায়োটেকের তরফে দাবি করা হয়েছে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা হল ৭৭.৮ শতাংশ।