২জি স্পেকট্রাম বণ্টন কেলেঙ্কারিকে হাতিয়ার করে ২০১৪ সালে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ শানিয়েছিল বিজেপি। সেই বিজেপি এবার সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়ে দাবি জানাল, কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্পেকট্রাম নিলাম না করলে চলবে কি না। ২০১২ সালের এক রায়ে শীর্ষ আদালন জানিয়েছিল, ইউপিএ সরকারের আমলে টেলিকম সংস্থাগুলিকে ২জি স্পেকট্রামের বণ্টন বাতিল করা হচ্ছে। স্পেকট্রামকে 'জাতীয় সম্পদ' আখ্যা দিয়ে সব ক্ষেত্রে নিলাম করা বাধ্যতামূলক বলে জানায় শীর্ষ আদালত। তবে এখন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের প্রশ্ন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিলাম না করে কিছু সংস্থার হাতে আলাদা ভাবে স্পেকট্রাম তুলে দেওয়া যাবে কি না? এই প্রসঙ্গে তারা পূর্বতন রায়ে কিছুটা সংশোধন চাইছেন। (আরও পড়ুন: 'ওরা নিজেদের ভাবে…', ভারত নিয়ে নাক গলানোর জেরে পশ্চিমী মিডিয়াকে তোপ জয়শঙ্করের)
আরও পড়ুন: কবে ভারতে বাকি S-400 মিসাইল সিস্টেমগুলি পাঠাবে রাশিয়া? সামনে এল নয়া তথ্য
উল্লেখ্য, এই রায় সংশোধন করার বিষয়ে গত ডিসেম্বর মাসেই আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হয়। কেন্দ্রের দাবি, জাতীয় সুরক্ষা, পরিকাঠামো এবং প্রশাসনের সুবিধার্থে ১৯টি ক্ষেত্রে যেন নিলামের বদলে ছাড় দেওয়া হয় স্পেকট্রাম বণ্টনের জন্য। অবশ্য সরকার এটা স্পষ্ট করে দেয় যে মোবাইল পরিষেবা এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে স্পেকট্রাম নিলামই করা হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সরকার যে টেলিকম আইন পাশ করিয়েছে, তাতে ১৯টি ক্ষেত্রে নিলাম থেকে ছাড় দেওয়ার কথা আছে।
এর আগে ২০১২ সালে ১২২টি লাইসেন্স বাতিল হয়েছিল ২জি স্পেকট্রামের। সেই সময় মামলাকারীর হয়ে আইনজীবী ছিলেন প্রশান্ত ভূষণ। সোমবার এই মামলার শুনানির সময় আদালতক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত ভূষণ। তিনি দাবি করেন, ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার নিষ্পত্তি করেছে। নিলাম ছাড়া অন্য ভাবে স্পেকট্রামের বণ্টন সম্ভব নয়। এই আবহে প্রশান্ত ভূষণের দাবি ছিল, সরকারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলায় পুনর্বিবেচনার কোনও প্রয়োজন আর নেই। (আরও পড়ুন: পতঞ্জলি মামলায় বারবার সুপ্রিম ধমক খেয়ে ফের 'বড় আকারের ক্ষমা প্রার্থনা' রামদেবের)
আরও পড়ুন: বাবার ১০০% সম্পত্তি যেন সন্তান না পায়, সম্পদ পুনর্বণ্টন নিয়ে বললেন কংগ্রেস নেতা
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে সিএজি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, প্রথম ইউপিএ জমানায় ২জি স্পেকট্রাম বণ্টনের জেরে সরকারের প্রায় ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়। এর জেরে টেলি যোগাযোগ মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন এ রাজা। পরে সিবিআই এই মামলার তদন্ত শুরু করে। এ রাজা, কানিমোঝি-সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়। তবে সিবিআই এই নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি। তাই সবাই বেকসুর খালাস পেয়ে গিয়েছিলেন। পরে চলতি বছরের মার্চ মাসে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সিবিআই এ রাজা সহ ১৬ জনের মুক্তির বিরুদ্ধে ফের আবেদন করে। সেই আবেদন গ্রহণ করে উচ্চ আদালত।