অক্ষিতা কুমারী
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে খোলা চিঠি লিখেছেন ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮০ জনেরও বেশি উপাচার্য ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ।
খোলা চিঠিতে শিক্ষাবিদরা বলেছেন, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়, তার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গান্ধী।
'কংগ্রেস নেতা শ্রী রাহুল গান্ধীর টুইট এবং ওপেন সোর্স থেকে আমাদের নজরে এসেছে যে ভাইস চ্যান্সেলরদের নিয়োগ যোগ্যতা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে নয় বরং কোনও সংস্থার সঙ্গে সংযুক্তির ভিত্তিতে করা হয়, যার ফলে উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়ার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ' ১৮১ জন উপাচার্যের লেখা চিঠিতে লেখা হয়েছে।
টযে প্রক্রিয়ায় উপাচার্য নির্বাচন করা হয় তা মেধা, পাণ্ডিত্যপূর্ণ স্বাতন্ত্র্য এবং সততার মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে কঠোর, স্বচ্ছ, কঠোর পদ্ধতি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। বাছাই সম্পূর্ণরূপে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক দক্ষতার উপর ভিত্তি করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে করা হয়েছে।
শিক্ষাবিদরা সংশ্লিষ্ট সকলকে ‘কল্পনা থেকে সত্যকে আলাদা করার ক্ষেত্রে বিচক্ষণতা অনুশীলন করার, ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক ফায়দা তোলার উদ্দেশ্যে মিথ্যা প্রচারের জন্য রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।
রাহুল গান্ধী মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন এবং রাজনৈতিক ফায়দা তোলার উদ্দেশ্যে ভাইস চ্যান্সেলরদের অফিসের মানহানি করেছেন। তাই আইনানুযায়ী অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করা হচ্ছে।
পদগুলির জন্য বাছাই প্রক্রিয়া পক্ষপাতদুষ্ট ছিল বলে অভিযোগ করে গান্ধীর মন্তব্যের পরে উপাচার্যদের চিঠিটি এসেছে।
রাহুল গান্ধী বলেছেন, উপাচার্যদের যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়নি, বরং ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মতাদর্শগত উৎস রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে নিয়োগ করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের ইনচার্জ অবিনাশ পান্ডে এই চিঠির প্রতিক্রিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, 'আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ভিসি করা হচ্ছে এবং যারা এই দেশের ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন, তারা উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি, একদিক থেকে এটি একটি অপরাধমূলক কাজ এবং দেশ ও দেশের ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা।
এদিকে এই খোলা চিঠিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্য়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা একযোগে এই চিঠি পাঠিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই চিঠিকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়াটাই স্বাভাবিক।