কেরলের কসারগোড় জেলায় যুব মুসলিম লিগের স্লোগান বিতর্কে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এরফলে এই ঘটনায় গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে হল ৮ জন। ধৃতদের মধ্যে একজনের বয়স ১৭ বছর। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনায় মুসলিম লিগের ৩০০ জন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: 'জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেব', কেরলে মুসলিম লিগের মিছিলে হিন্দু বিরোধী স্লোগান
মণিপুর ইস্যু নিয়ে মঙ্গলবার কানহানগড়ে একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল যুব মুসলিম লিগ। সেই মিছিলে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাতে অংশগ্রহণকারী মুসলিম লিগের যুব সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই স্লোগানের পরেই দেশজুড়ে নিন্দার ঢেউ ওঠে। সমালোচনায় সরব হন বিজেপির বহু নেতা। তাঁরা সোশাল মাধ্যমে মুসলিম লিগের সেই মিছেলের স্লোগান পোস্ট করে সমালোচনা করেন। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য সেই সমাবেশের ভিডিয়ো শেয়ার করে কেরলে হিন্দু ও খ্রিস্টানরা নিরাপদ কিনা?তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ঘটনার নিন্দা করেন কেরলের বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে কাঠগড়ায় তোলেন। তাঁদের দাবি, এর দায় রাহুল গান্ধীকে নিতে হবে। কারণ তারা নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বলেন।
এই ঘটনার পরেই পুলিশি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ ৩০০ জনের বিরুদ্ধে করে মামলা রুজু করে। শুরু হয় ধরপাকড়। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরদারি জোরদার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি দেখা গিয়েছে। তাতে হিন্দু ধর্মালম্বীদের টার্গেট করে উস্কানিমূলক কথা বলা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসে মুসলিম লিগ নেতৃত্ব। যে কর্মী এই স্লোগান দিয়েছিলেন তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ কেরালার রাজ্য সভাপতি সাইয়িদ সাদিক আল শিহাব থাঙ্গাল এই স্লোগানের নিন্দা করেন। তিনি বলেন, ’একজন ব্যক্তি এবং সমাজকর্মী হিসেবে প্রত্যেক ব্যক্তিরই দায়িত্ব রয়েছে। অন্য ব্যক্তির ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করার অধিকার আমাদের নেই। সামাজিক সহাবস্থান হল বৃদ্ধি ও বিকাশের ভিত্তি। এই মনোভাব থেকে সরে হলে এটি একটি বড় ক্ষতি হবে।’