দিল্লি থেকে উদ্ধার হল পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাচার হওয়া ৫ মহিলা। তাদের মধ্যে ২ জন নাবালিকা বলে জানা গিয়েছে। তামিলনাড়ু থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আরও ২ মহিলাকে। পুজোর মধ্যে এদের পাচার করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
উদ্ধার হওয়া মহিলারা সবাই সুন্দরবন পুলিশ জেলার ঢোলাহাট থানা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শক্তি বাহিনীর তৎপরতায় উদ্ধার করা হয় ৫ মহিলাকে। এদের দিল্লিতে পাচার করা হচ্ছে বলে মহিলা কমিশনকে খবর দেয় ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাই। মহিলা কমিশন সুন্দরবন পুলিশকে খবর দেয়। মঙ্গলবার রাজধানী এক্সপ্রেসে করে দিল্লি যান পুলিশ আধিকারিকরা। বুধবার থেকে শুরু হয় অভিযান।
সূত্রের খবর, গত ১৯ অক্টোবর শক্তি বাহিনী মহিলা কমিশনকে পাচারের খবর জানায়। দুরন্ত এক্সপ্রেসে করে মহিলাদের পশ্চিমবঙ্গে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে খবর মেলে। এর পর দিল্লি পুলিশ, মহিলা কমিশন ও শক্তি বাহিনীর সদস্যরা নয়া দিল্লি স্টেশনে ফাঁদ পেতে পাচার হওয়া মহিলাদের উদ্ধার করে। গ্রেফতার হয় সঞ্জু হালদার নামে এক পাচারকারী। তবে মূল পাচারকারী পালিয়ে যায়।
উদ্ধার হওয়া মহিলারা জানিয়েছেন, জাইনা নামে এক মহিলা ও লাদেন নামে এক ব্যক্তির আশ্বাসে তাঁরা দিল্লি এসেছেন। দিল্লি লাগোয়া গ্রাম মদনপুর খাদরে তাঁদের আটক করে রাখা হয়েছিল। তাঁদের যৌন হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন উদ্ধার হওয়া মহিলারা। তাদের ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল।
উদ্ধার হওয়া এক মহিলা কোনওভাবে ফোনে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার পর অভিযোগ দায়ের হয় ঢোলহাট থানায়।
এছাড়া তামিলনাড়ু থেকে বসিরহাটের ন্যাজাটের বাসিন্দা ২ মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, উৎসবের মরশুমে যৌনপল্লিতে খদ্দেরের আনাগোনা বাড়ে। তাই নতুন মেয়েদের সেখানে আনতে মরিয়া হয়ে ওঠে দালালরা। তেমনই এক দালালচক্রে পা দিয়েছিলেন এই মহিলারা।