আম আদমি পার্টিকে রাজনৈতিক দল হিসাবে মান্যতা না দেওয়ার জন্য আবেদন গেল নির্বাচন কমিশনের কাছে। এদিন, প্রাক্তন সিভিল সার্ভেন্টদের ৫৬ জন একটি চিঠি লিখে নির্বাচন কমিশনকে এই আবেদন জানান। সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এরবিন্দ কেজরিওয়াল এক প্রেস কনফারেন্সে কিছু বক্তব্য রাখেন। সেই বক্তব্যকে ‘ভারসাম্যহীন’ ও ‘বিতর্কিত’ বলে মন্তব্য করে এই চিঠি লেখেন ওই প্রাক্তন আইএএসরা।
আম আদমি পার্টির বিরুদ্ধে লেখা ৫৬ জন প্রাক্তন আইএএস অফিসারের বক্তব্যে বলা হচ্ছে, প্রেস কন্ফারেন্সের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সময় দেখা গিয়েছে, ‘ কেজরিওয়াল বারবার গুজরাতের সরকারী কর্মচারীদের আপ-এর এর সাথে একত্রে কাজ করতে প্ররোচিত করেছে যাতে তাদের (আপ) জয় নিশ্চিত করা যায় আসন্ন ভোটে (গুজরাত বিধানসভা ভোট)।’ উল্লেখ্য আম আদমি পার্টির বক্তব্যে উঠে এসেছে, গুজরাতের হোমগার্ড, রাজ্য সরকারি ড্রাইভার, পুলিশ, অঙ্গনওয়াড়ি সকলে মিলে যেন আম আদমি পার্টির জয়ের দিকে এগিয়ে যান। আর এই বক্তব্যেই আপত্তি তুলেছেন দেশের প্রাক্তন ৫৬ জন আইএএস অফিসার। একধাপ এগিয়ে এই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, কেজরিওয়াল দাবি করেছেন যে তাঁকে জিতিয়ে দিলে তিনি পাল্টা বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেবেন এই অফিসারদের। যে প্রলোভন কার্যত বিধি বিরুদ্ধ। মহালয়ার আগে আকস্মিক ধনলাভ, পরে কেরিয়ারে উন্নতি কাদের ভাগ্যে? জানুন রাশিফলে
চিঠিতে বলা হচ্ছে যে, এমন উস্কানিমূলক মন্তব্য কোনও মতেই উচিত নয়। একজন মুখ্যমন্ত্রী তথা একজন পার্টি প্রধানের তরফে এমন উস্কানিমূলক বক্তব্য খুবই অনভিপ্রেত বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ১৯৫১ সালের রিপ্রেজেন্টেশান অফ পিপল অ্যাক্টের আওতায় থেকে সেকশন সিক্সএর ১২৩ ধারা সম্পর্কেও এই চিঠি বক্তব্য তুলে ধরেছে। আইএএসদের অভিযোগ এটা ‘ ইচ্ছাকৃত ও অঙ্ক কষে নেওয়া একটি পদক্ষেপ।’ সেখানে বলা হয়েছে, ‘সরকারি মেশিনারিকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক জয়ের'যে প্রবণতা তা নির্বাচনী বিধি বিরুদ্ধ।