মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে একের পর এক দুর্ঘটনা। ৩০ বছর বয়সি এক সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারের কাণ্ডে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে হায়দরাবাদে। তার নাম পাতারসা ক্রান্তি কুমার। তিনি একটি ভল্কসওয়াগেন পোলো গাড়ি চালাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি প্রথমে একটি চারচাকা গাড়িকে ধাক্কা দেন। এরপর তিনি এক পথচারীকে, তিনটি বাইকে ধাক্কা দেন। অতিরিক্ত মদ্যপান করার জেরেই তিনি এই কাণ্ড ঘটান বলে মনে করা হচ্ছে। তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রথম দুর্ঘটনাটি হয়েছিল রাত ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। আর শেষটা হয় রাত ১২টা ৫১ মিনিটে। ৬ মিনিটে ৬টা দুর্ঘটনা। জুবিলি হিলস থেকে নিজামপেটের দিকে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। পথে একের পর এক দুর্ঘটনা। পরপর তিনটি বাইকে ধাক্কা দেন। অটো, পথচারী একের পর এক ধাক্কা।
একাধিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তিনি গাড়ি চালানোর আগে একটা বারে ছিলেন। মাইন্ড স্পেসের কাছেই ওই বার। রাত ১০টা পর্যন্ত তিনি সেখানে মদ খান। এরপর তিনি গাড়িতে চাপেন। কিন্তু অনেকেই তাকে বারণ করেছিলেন এভাবে গাড়ি চালাবেন না। কিন্তু কে শোনে কার কথা। তিনি গাড়িতে বসে পড়েন। এরপর তিনি গাড়ি চালাতে শুরু করে দেন।
তবে বারের স্টাফরা বলেছিলেন ক্যাবে করে চলে যান। এভাবে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে যাবেন না। তবে ওই ব্যক্তি বলেন, সব ঠিক আছে। তিনি এখানেই থাকবেন। তারপর যাবেন। এদিকে স্টাফরা যখন নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়়েন তখন ওই ব্যক্তি টুক করে গাড়িতে চেপে পড়েন। এরপর তিনি চালাতে শুরু করেন।
এরপর রাস্তায় একের পর এক দুর্ঘটনা। একাধিক সংবাদমাধ্যমে এনিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশ শেষ পর্যন্ত গাড়িটিকে আটক করেছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে মদ্যপান করে গাড়ি না চালানোর জন্য বার বার আবেদন করা হয়, সতর্ক করা হয় পুলিশের তরফে। কিন্তু তারপরেও অনেকে কথা কানে নেন না। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন ভয়াবহ হতে পারে তা ভাবতেই শিউরে উঠছেন অনেকেই। দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
ওই ব্যক্তি একেবারে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। একের পর এক গাড়িতে ধাক্কা দেন। তার গাাড়ির সামনের অংশটাও ভেঙে গিয়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত করে দেখছে।