পাকিস্তানের পেশোয়ারে ভয়াবহ হামলা। পুলিশ লাইনে একটি মসজিদের ভেতরে প্রাণঘাতী হামলা। বেলা ১.৪০ নাগাদ সেই সময় প্রার্থনার জন্য ভিড়় জমিয়েছিলেন মসজিদে। সেই সময় আচমকা হামলা। বোম বিস্ফোরণ। এক তালিবানি আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। ওই জঙ্গি নিজেকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেয়। তার জেরে মসজিদের ভেতর তীব্র বিস্ফোরণ হয়। তাতে মৃত্যু হয়েছে ৬১জনের। আহত হয়েছেন ১৫০জন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুলিশের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে সেই সময় পুলিশ, বোম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াড, সেনা মসজিদে প্রার্থনার জন্য জড়ো হয়েছিলেন। সেই সময় বিরাট বিস্ফোরণ। কেঁপে ওঠে চারদিক। একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে ছিল ওই জঙ্গি। সে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে যায় ছাদ ।
পুলিশ জানিয়েছে, ৬১জনের মৃত্যু হয়েছে হামলায়। অন্তত ৩০০-৪০০জন পুলিশ দাঁড়িয়েছিল এলাকায়। মনে করা হচ্ছে সুরক্ষায় কোনও ঘাটতি ছিল।
তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তান এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তাদের দাবি আফগানিস্তানে উমর খালিদকে খুন করা হয়েছিল। এটা তারই বদলা।
এদিকে বিস্ফোরণে মসজিদের একাংশও ভেঙে গিয়েছে। তার তলাতেও অনেকে চাপা পড়ে রয়েছে।
ইতিমধ্যেই এলাকায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু চার স্তরীয় নিরাপত্তা ভেদ করে ওই জঙ্গি কীভাবে মসজিদে প্রবেশ করল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। প্রভিনশিয়াল পুলিশ চিফ মোয়াজ্জম জাহ আনসারি জানিয়েছেন, কীভাবে ওই জঙ্গি মসজিদের ভেতরে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে ওই জঙ্গি আগে থেকেই পুলিশ লাইনসের মধ্যে ছিল.। কারণ সেখানে ফ্যামিলি কোয়ার্টার রয়েছে।
পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনির গোটা বিষয় সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন। পাক প্রধানমন্ত্রী জরুরী ভিত্তিতে বৈঠক ডেকেছেন। কীভাবে ওই আত্মঘাতী জঙ্গি ভেতরে গেল সেই প্রশ্নটাই উঠতে শুরু করেছে।