এমনিতে ১৫০ জন জওয়ান উঠতে পারেন। সেই বিমানেই উঠলেন ৬৪০ জন। রীতিমতো গাদাগাদি করে বসে থাকেন মানুষজন। তাতেও একটাই শান্তি, তালিবানের হাতে প্রাণ যায়নি তো। যে ছবি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। পরে আমেরিকার তরফে সেই ছবিব সত্যতাও স্বীকার করা হয়েছে।
গত রবিবার সন্ধ্যা-রাত থেকে দেশ ছাড়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন আফগানরা। কাতারে-কাতারে মানুষ কাবুল বিমানবন্দরে ঢুকে আসছেন। তালিবানের হাত থেকে বাঁচতে ছোটো-ছোটো বাচ্চাদের নিয়ে হাজার-হাজার মহিলা, পুরুষ পাঁচিল টপকে কোনওক্রম বিমানবন্দরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, যে সামরিক বিমানগুলি কাবুল থেকে উড়ছে, তাতে জায়গা পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন আফগানরা। বিমান ছাড়ার পরও রানওয়ে দিয়ে প্রচুর মানুষকে দৌড়াতে দেখা দিয়েছে। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এতটাই হাহাকার পরিস্থিতি আফগানিস্তানের যে বিমানে উঠতে না পারে অনেকে ল্যান্ডিং গিয়ার ধরে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেছেন। উড়ানের কয়েক সেকেন্ডের তাঁরা বিমান থেকে পড়ে গিয়েছেন বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
তারইমধ্যে একটি ছবি সামনে আসে, তাতে দেখা যায়, অসংখ্য মানুষ গাদাগাদি করে একটি সামরিক বিমানের মধ্যে বসে আছেন। একচুলও নড়ার জায়গা নেই। তাতে আছেন বাচ্চা, বয়স্ক - সকলে। কেউ কেউ বসার জায়গাটুকুও পাননি। তাঁরা দাঁড়িয়ে আছেন। পরে পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়, সি-১৭ গ্লোবমাস্টার-৩ কার্গো বিমানে করে ৬৪০ জনের বেশি আফগানকে উড়িয়ে আনা হয়েছে। বিমানে পাঁচগুণ বেশি যাত্রী থাকলেও আফগানদের প্রাণ বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেন ক্রুয়ের সদস্যরা। যে বিমান সেনাকে যুদ্ধের সরঞ্জাম এবং রসদ পৌঁছে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। প্রাথমিকভাবে বিমানটি আফগানিস্তান থেকে কাতারে উড়ে গিয়েছে।
তারইমধ্যে সেই গাদাগাদি করে বসার ভিড়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তাতে আফগানিস্তানের যে ভয়াবহ অবস্থা, তা ফুটে উঠেছে। তবে ওই ৬৪০ জন আফগানের চোখে-মুখে অবশ্য স্বস্তি ধরা পড়েছে। কারও মুখে হালকা হাসির আভা দেখা গিয়েছে। গত কয়েকদিনে দেশে যা চলেছে, তাতে সেই হালকা হাসিই বুঝিয়ে দিয়েছে একটাই কথা - নিদেনপক্ষে প্রাণটা তো বেঁচেছে।